মধ্যপ্রাচ্যে মোতায়েন বিপুলসংখ্যক সেনা ও বেশ কয়েকটি আকাশ প্রতিরক্ষা ইউনিট সরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরাক, কুয়েত, জর্ডান ও সৌদি আরব থেকে আটটি প্যাট্রিয়ট অ্যান্টিমিসাইল ব্যাটারি সরিয়ে নিচ্ছে পেন্টাগন। কিন্তু কেন? ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, ইরানের সঙ্গে উত্তেজনা প্রশমনে বাইডেন প্রশাসনের সাম্প্রতিক প্রচেষ্টার মধ্যেই এ পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে।
এমনকি, ট্রাম্পের আমলে সৌদিতে পাঠানো টার্মিনাল হাই অ্যাল্টিচিউড এরিয়া ডিফেন্স বা থাড নামে আরেকটি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এর প্রত্যেকটি ব্যাটারি পরিচালনা ও সহযোগিতার জন্য কয়েকশ সেনা এবং বেসামরিক লোকজন প্রয়োজন হয়। ২ জুন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের ফোনালাপের পর থেকেই এ প্রত্যাহার কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
পেন্টাগনের মুখপাত্র কমান্ডার জেসিকা ম্যাকনাল্টি বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি ইউনিট অন্য দেশে পুনঃমোতায়েন এবং কিছু সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তবে তাদের কোন দেশে পুনঃমোতায়েন করা হচ্ছে তা জানাননি তিনি।
এক ইমেইলে এ মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, আয়োজক দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি পূরণে সক্ষমতার দিকে নজর রেখে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এর আগে, আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহযোগিতার নামে ইরাকে মোতায়েন মার্কিন সেনার সংখ্যা গত বছর আড়াই হাজারে নামিয়ে আনে যুক্তরাষ্ট্র। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে সরানো হচ্ছে আফগানিস্তানে মোতায়েন সেনাদেরও। যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে এখনো মধ্যপ্রাচ্যের বড় হুমকি হিসেবে দেখলেও বর্তমান মার্কিন প্রশাসন তেহরানের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে পরমাণু চুক্তি পুনর্বহাল করতে আগ্রহী।