মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরেও দেশটির সাথে পরমাণু সমঝোতা পুনরুজ্জীবনের আলোচনা অব্যাহত রাখতে ওয়াশিংটন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে। আমেরিকার স্থানীয় সময় শনিবার রাতে এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইরানের ক্ষমতায় কে রয়েছে তা আমাদের বিবেচ্য বিষয় নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষাকে আমাদের পররাষ্ট্রনীতিতে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে। ভিয়েনা সংলাপের সর্বশেষ পর্বের আলোচনায় যে অর্থপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে তাকে আরো এগিয়ে নিতে আমরা বদ্ধপরিকর।’
গত শুক্রবার ইরানে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিচার বিভাগের প্রধান আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি শতকরা ৬১.৯ ভাগ ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে ইরানের বিরুদ্ধে অতীতের ভিত্তিহীন অভিযোগগুলোরও পুনরাবৃত্তি করা হয়। শুক্রবার ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি সত্ত্বেও আমেরিকা দাবি করে এ নির্বাচন ‘স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ’ ছিল না।
আমেরিকা এমন সময় ইরানের নির্বাচন সম্পর্কে এ দাবি করল যখন বিশ্বের বহু দেশ এরইমধ্যে বার্তা পাঠিয়ে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রায়িসিকে অভিনন্দন জানিয়েছে। শনিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট, কাতারের আমির, কুয়েতের আমির, ওমানের সুলতান, আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট, আর্মেনিয়ার প্রেসিডেন্ট, কিউবার প্রেসিডেন্ট, ইরাকের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী এবং লেবাননের পার্লামেন্ট স্পিকার আলাদা আলাদা বার্তা পাঠিয়ে সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
সূত্র : পার্সটুডে