যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে সেনা সরানোর আগে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি। শুক্রবার এ গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসছেন তারা।
এদিকে ওয়াশিংটনে পৌঁছে গেছেন গনি। শুক্রবারের বৈঠকে বাইডেনের কাছে আফগানিস্তানের জন্য একাধিক সাহায্য চাইতে পারেন তিনি। তবে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানকে কতটা সাহায্য করবে, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে বিভিন্ন মহল।
যুক্তরাষ্ট্রসহ ন্যাটো বাহিনী আফগানিস্তান থেকে সৈন্য সরাতে শুরু করে দিয়েছে। বাইডেন জানিয়েছেন, ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সমস্ত সৈন্য সরিয়ে নেয়া হবে। তালেবানের সাথে চুক্তি মেনেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু সমস্যা হলো, ন্যাটো সৈন্য যত সরিয়ে নিচ্ছে, আফগানিস্তানে ততই শক্তিবৃদ্ধি করছে তালেবান। মে মাসের মধ্যে দেশের প্রায় ৫০টি অঞ্চল তারা দখল করে নিয়েছে। আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রর স্পেশাল এনভয় ডেবোরা লিয়ন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আফগানিস্তানে ৩৭০টি জেলা আছে, তার মধ্যে ৫০টিরও বেশি তালেবান দখল করে নিয়েছে। আঞ্চলিক রাজধানীগুলিকে প্রায় ঘিরে ফেলেছে তারা। শক্তিবৃদ্ধি করে সওই অঞ্চলগুলোও তারা যেকোনো সময় দখল করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে বাইডেনের সাথে বৈঠক করবেন গনি। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, সেনা সরানোর পরেও যুক্তরাষ্ট্র যাতে আফগান সরকারের পাশে থাকে ওই আবেদন জানাবেন গনি। পাশাপাশি অর্থ সাহায্যও চাইতে পারেন। তবে বাইডেন এ বিষয়ে তাকে কতটা আশ্বস্ত করবেন, তা নিয়ে সংশয় আছে। যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, অনেক আগেই আফগান সরকার শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারত। কিন্তু ওই কাজ তারা করেনি। আফগানিস্তান থেকে সেনা সরানোর বিষয়টিকেও বাইডেন স্থগিত করবেন বলে মনে করছেন না বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা, শক্তি থাকলেও আঞ্চলিক রাজধানীগুলো তালেবান এ মুহূর্তে দখল করবে না। বিদেশি সেনা দেশ ছেড়ে যাওয়ার আগে তারা এ ভাবেই শক্তি বৃদ্ধি করতে থাকবে। সেপ্টেম্বরে বিদেশী সেনা চলে গেলে গোটা দেশেরই দখল নিতে পারে তারা। বস্তুত, কাবুলেরও দখল নেয়ার ক্ষমতা এখন তাদের আছে বলে মনে করা হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে আফগান সরকার তালেবানের সাথে শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তালেবান উল্টো আক্রমণ আরো বাড়িয়েছে। তালেবানের সাথে শান্তিচুক্তিতে গনি যুক্তরাষ্ট্রকে মধ্যস্থতা করতে বলতে পারে বলেও মনে করছেন অনেকে।
সূত্র : ডয়চে ভেলে