একদিকে ডি ব্রুইনা, লুকাকু অন্যদিকে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এখন পর্যন্ত ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে চলমান আসর এবং সর্বকালের সবচেয়ে বেশি গোলের মালিক রোনালদো। এবারের মৌসুমে মাঠে পা থেকে বল হারিয়েছেন আবার সেই বল নিতে ছুটে গেছেন, মাঝমাঠে নেমে এসেছেন, সতীর্থদের উজ্জীবিত করেছেন, পেনাল্টি থেকে স্নায়ুচাপ জয় করে গোল করেছেন। জার্মানির বিপক্ষে পুরো মাঠ ১০ থেকে ১৫ সেকেন্ডের মধ্যে অতিক্রম করে কাউন্টার অ্যাটাকে গোল করেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। রোনালদোর বর্তমান ফর্মকেই বড় করে দেখছেন সকলে। তবে রোনালদোকে নিয়ে বিশেষভাবে চিন্তিত নন বলে জানিয়েছেন বেলজিয়ামের কোচ রবার্তো মার্টিনেস। আজ ইউরোর শেষ ষোলোর ম্যাচে বেলজিয়ামের বিপক্ষে মাঠে নামবে পর্তুগাল। গতবারের চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে রক্ষণ অটুট রাখার পরিকল্পনা মার্টিনেসের। শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনে জানালেন, একজনকে বাড়তি গুরুত্ব না দিয়ে সবাইকে সমানভাবে দেখছেন তারা। মার্টিনেস, ‘আমাদেরকে অবশ্যই রক্ষণে খুব ভালো করতে হবে। তবে নির্দিষ্ট কোনো খেলোয়াড়কে নিয়ে পরিকল্পনা করা হলে অন্যরা আঘাত হানতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘অবশ্যই ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এমন একজন খেলোয়াড় যে সঠিক সময়ে, সঠিক পাসে, সঠিক জায়গা খুঁজে নেয় এবং এজন্য সবসময় সতর্ক থাকতে হবে। আমরা সবাই জানি, সে বিশ্বের সেরা ফুটবলারদের একজন।’ বেলজিয়াম কোচ রবের্তো মার্টিনেস। এজন্য অন্যদের খাটো করে দেখার সুযোগ দেখছেন না এই স্প্যানিশ কোচ। তিনি বলেন, ‘তবে আপনাকে বাকি ১০ খেলোয়াড়কেও সামলাতে হবে। পর্তুগাল যেভাবে খেলে, তাদের খেলায় সহজাত নৈপুণ্য ও বেশ গতি রয়েছে। পর্তুগালের একই ধরনের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় রয়েছে এবং আমাদের আঁটসাঁট হতে হবে এবং জমাট থেকে দলগতভাবে রক্ষণ সামলাতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই দল কেন সফল, কেন তারা ইউরো ও নেশন্স লিগ জিতেছে, এর কারণ, তারা অসাধারণ মানসিকতার এবং তারা জানে বড় ম্যাচ কীভাবে খেলতে হয়।’ পর্তুগালের প্রশংসার কমতি রাখেননি মার্টিনেস। তবে বড় টুর্নামেন্টে বেলজিয়ামের এগিয়ে যাওয়ার সময় হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমরা আত্মবিশ্বাসে ভরপুর একটা দল, মোমেন্টাম আমাদের পক্ষে।’ তিনি আরও বলেন, ‘কীভাবে উন্নতি করতে পারি এবং উপলক্ষটা কতটা উপভোগ করতে পারি আমরা তা দেখার অপেক্ষায়। দিন শেষে, যখন আমরা আমাদের ফুটবল উপভোগ করি তখন আমরা আমাদের সেরাটা খেলি।’ গ্রুপ পর্বের সবগুলো ম্যাচ জিতে নকআউট পর্বে উঠেছে বেলজিয়াম। পর্তুগাল এসেছে ছয় গ্রুপের চারটি তৃতীয় সেরা দলের একটি হয়ে।