হ্যারিস সেফেরোভিচের গোলে এগিয়ে যায় সুইজারল্যান্ড। এরপর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় ফ্রান্স। একের এক গোলে সহজ জয়ের দিকে এগোচ্ছিল ফ্রান্স। কিন্তু শেষের ৯ মিনিটে ম্যাচের চিত্র বদলে দেয় সুইসরা। টানা দুই গোলে সমতায় ফিরে তারা। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে, তাতেও ফল আসেনি, পরে টাইব্রেকারের রোমাঞ্চকর নাটকীয় লড়াইয়ে জয় তুলে নেয় সুইসরা।
আজ সোমবার রোমানিয়ার ন্যাশনাল অ্যারেনায় নির্ধারিত সময়ে ৩-৩ গোলের ড্র হয়। এরপর টাইব্রেকার কিলিয়ান এমবাপে স্পর্ট কিক মিস করলে ৫-৪ গোলে জিতে মাঠ ছাড়ে সুইচরা।
সুইসদের হয়ে জোড়া গোল করেন হ্যারিস সেফেরোভিচ ও একটি করে গোল করেন মারিও গাভরানোভিচ। ফ্রান্সের হয়ে জোড়া গোল করেন করিম বেনজেমার ও একটি গোল করেন পল পগবা।
আক্রমণ প্রতি আক্রমণে জমে উঠা ম্যাচে ১৫তম মিনিটে এগিয়ে যায় সুইজারল্যান্ড। সতীর্থের বাড়ানো ক্রসে দারুণ হেডে জালে জড়ান সেফেরোভিচ।
পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠে ফ্রান্স। ফের আক্রমণের ধার বাড়ায় সুইসরা। প্রথমার্ধের ৪২তম মিনিটে আক্রমণ বাড়ায় সুইসরা। ডি-বক্স থেকে নেওয়া আকাঞ্জির শট লক্ষভ্রষ্ট হয়।
বিরতি থেকে ফিরে নিজেদের বক্সে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে ফাউল করেন পাভার্ড। রেফারি ভিএআরের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টি উপহার দেন সুইজারল্যান্ডকে। সেখানে দুর্বল স্পর্ট কিক নেন রিকার্ডো রডরিগেজ। তার শট গ্লাভসে জড়িয়ে নেন ফরাসি গোলরক্ষক লরিস।
ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ হাতছাড়া সুইজারল্যান্ডের। এরপর আক্রমণ বাড়ায় ফ্রান্স। ৫৬তম মিনিটে পগবার ক্রসে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন কিলিয়ান এমবাপে। পরের মিনিটে এই ফরোয়ার্ডের পাসে ফ্রান্সকে সমতায় ফিরান করিম বেনজেমা।
দুই মিনিটের ব্যবধানে ফ্রান্সকে লিড এনে দেন বেনজেমা। বাম দিক থেকে গ্রিজমানের ভলি গোলরক্ষকের হাত ছুঁয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় হেডে জালে জড়ান বেনজেমা।
৭৫তম মিনিটে দারুণ এক গোলে লিড বড় করেন পগবা। জয়ের দিকে এগোচ্ছিল ফরাসিরা। ছয় মিনিট পরই ফ্রান্সের রক্ষণ ভেঙে ব্যবধান কমান সেফেরোভিচ। নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে সুইজারল্যান্ডকে সমতায় ফেরান গাভরানোভিচ।
ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। আক্রমণ প্রতি আক্রমণে জমে উঠে মাঠের লড়াই। একই তালে লড়াই চালিয়ে যায় উভয়পক্ষ। অতিরিক্ত সময়েও ফল না আসায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখান থেকে ৮-৫ গোলের ব্যবধানে জয় নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পা রাখে সুইজারল্যান্ড।