বাংলাদেশের জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী কনক চাঁপা আবারো নিজের একক গানের অনুষ্ঠানে মন-প্রাণ উজার করে গেয়ে দর্শক-শ্রোতাদের মুগ্ধ করলেন। শো টাইম মিউজিকের আয়োজনে গত ৯ জুলাই শুক্রবার লাগেয়ার্ডিয়া মেরিয়ট হোটেলের বলরুমে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশের তিনটি জাতীয় পুরস্কার সহ দেশ-বিদেশের অসংখ্য পুরস্কার অজর্নকারী সঙ্গীত শিল্পী কনক চাঁপা অনুষ্ঠানে তার জনপ্রিয় গানগুলো ছাড়াও আধুনিক, রবীন্দ্র-নজরুল, লালনগীতি সহ বিভিন্ন ধরনের গান গেয়ে মুগ্ধ করেন। আর গানের ফাঁকে ফাঁকে জীবনের নানা অভিজ্ঞতার কথাও সংক্ষেপে তুলে ধরেন। অকপটে স্বীকার করলেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড খ্যাত’ বাংলাদেশের অপর জনপ্রিয় শিল্পী বেবী নাজনীনের গানে গানে দর্শক-শ্রোতাদের মাতিয়ে রাখার কৌশল। বললেন, শিল্পীরাও নানাভাবে, নানা কৌশলে দর্শক-শ্রোতাদেরও মজিয়ে রাখেন। সব মিলিয়ে প্রবাসীরা প্রাণভরে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন।
তিনি জানালেন, গান গাইতে গাইতে তিনি যখন ঘেমে যান তখন তাঁর মনে হয় তিনি একজন সত্যিকারের কণ্ঠশ্রমিক। যে সাহসী উচ্চারণ তাঁকে হাজার হাজার শিল্পীর একজন প্রতিনিধি বলেই প্রতীয়মান করে। নিজের বাবাকে প্রথম ও স্বামী গীতিকার মঈনুল ইসলাম খানকে গানের দ্বিতীয় শিক্ষক হিসেবে উল্লেখ করে কনক চাঁপা বলেন, তাঁদের অনুপ্রেরণায় আমি আজকে এ পর্যায়ে পৌঁছাতে পেরেছি। নিজে ও তাঁর স্বামী গান নিয়েই ঘুরে বেড়াচ্ছেন দেশ-দেশান্তরে। আর তাই তিনি নিজেদেরকে বাউল দম্পতি হিসেবে উল্লেখ করেন। প্রশংসা করেন প্রবাসী শিল্পী শাহ মাহবুবের গানের।
শিল্পী বেবি নাজনীন বলেন, আমি গানের কদর বুঝি। খুব সহজে আমি প্রীত হইনা। কিন্তু আজকে কনক চাঁপার গাওয়া প্রতিটি গান আমার হৃদয় ছুঁয়েছে।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আয়োজক আলমগীর খান আলম। এছাড়াও কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের মধ্যে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শাহ নেওয়াজ, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট এম মজুমদার, ডা. চৌধুরী সারওয়ারুল হাসান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান বাবু, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট আহসান হাবিব, হাসান জহির, সঙ্গীত শিল্পী রানো নেওয়াজ ও শাহ মাহবুব প্রমুখ শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে আয়োজকদের পক্ষ কনক চাঁপাকে ক্রেস্ট ও ফুল দিয়ে সম্মানিত করা হয়। থেকে প্রতিকুল আবহাওয়ার মধ্যেও বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন।