বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২৭ পূর্বাহ্ন

২৭৭ রানের লক্ষ্য জিম্বাবুয়ের সামনে

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৬ জুলাই, ২০২১
  • ১১৩ বার

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে বড় সংগ্রহ গড়েছে বাংলাদেশ। শুরুতে একের পর এক উইকেট হারালেও মাঝের দিকে দলকে আলোর পথ দেখান লিটন দাস ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। লিটনের লড়াকু সেঞ্চুরিতে ভর করে ২৭৬ রান তুলেছে টাইগাররা। জয়ের জন্য স্বাগতিকদের প্রয়োজন ২৭৭ রান।

আজ শুক্রবার হারারেতে টসে হেরে ব্যাট করতে এসে নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৭৬ রান তোলে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১০২ রানের ইনিংস খেলেন লিটন দাস।

ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে দলের হাল ধরেন লিটন দাস। ব্যাট হাতে একাই জিম্বাবুয়ের বোলারদের দারুণভাবে মোকাবেলা করেন তিনি। তাকে কিছু সময়ের জন্য সঙ্গ দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অবশ্য রিয়াদ ফিরে গেলেও থামেনি লিটনের রানের গতি। আফিফ হোসেন ধ্রুবকে নিয়ে দারুণ ব্যাটে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। তার সেঞ্চুরিতে ভর করে লড়াকু পুঁজির দিকে এগোচ্ছে বাংলাদেশের রানের গতি।

আজ শুক্রবার দুপুরে টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান স্বাগতিক অধিনায়ক বেন্ডন টেলর। টসে হেরে ব্যাট করতে এসে শুরুটা নড়বড়ে হয় টাইগারদের। মাত্র ৫৭ রান ‍তুলতেই তিন উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। শুরুতে ব্যাট করতে এসে ইনিংসের তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তামিম ইকবাল। পেসার মুজারাবানির লাফিয়ে উঠা বল ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে জমা হয়। তিনে এসে আশা জাগান সাকিব আল হাসান। কিন্তু থিতু হওয়ার আগেই মুজারাবানিকে উইকেট উপহার দেন তিনি। বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে রায়ান বার্লে তালুবন্দি হন সাকিব। ২৫ বলে তিন চারে ১৯ রান করে ফেরেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।

তৃতীয় উইকেটের জুটি আশা দেখান মোহাম্মদ মিঠুন। তবে তাকেও থিতু হওয়ার আগেই সাজঘরে ফেরান স্বাগতিক পেসার টেন্ডাই চাতারা। ১৯ বলে ১৯ রান করে তামিমের মতোই উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে বন্দি হন তিনি। দলীয় ৭৪ রানের মাথায় পেসার এনগারাভার বল নতুন ব্যাটসম্যান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে জমা হয়। মাত্র ৫ রান করে ফেরেন সৈকত।

চার উইকেট হারি খাদে পড়া দলের হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও ওপেনার লিটন দাস। দু’জনের জুটিতে দলীয় শতক তুলে নেয় বাংলাদেশ। ২৯তম ওভারের ষষ্ঠ বলে চার মেরে ফিফটি করেন তিনি। দুই জনের গড়া ৯৩ রানের জুটি ভাঙেন লুক জংউই। ৫২ বলের লড়াকু ৩৩ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন রিয়াদ। এরপর অবশ্য আফিফ হোসেন ধ্রুবকে নিয়ে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে নেন লিটন। খানিক পরই এনগারাভার শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ১১৪ বলে আট চারে ১০২ রান করেন তিনি।

শেষের দিকে নতুন ব্যাটসম্যান মেহেদি হাসান মিরাজকে নিয়ে দ্রুত রান তোলেন আফিফ হোসেন ধ্রুব। দুইজনের গড়ায় ৫৮ রানের জুটি ভাঙেন জংউই। শুরুতে মিরাজ এবং পরের বলে আফিফকেও ফেরান এই পেসার। মিরাজ ২৬ ও আফিফ ৪৫ রান যোগ করেন। শেষ ওভারে সাইফউদ্দিনের অপরাজিত ৮ রানে ভর করে ২৭৬ রান তোলে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের হয়ে তিনটি উইকেট শিকার করেন লুক জংউই।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com