পুরো উইকেট ছিল ব্যাটিং স্বর্গ। বোলারদের জন্য কোনো সুবিধাই ছিল না। উইকেটের সাহায্য নিয়ে বড় সংগ্রহ গড়েছিল জিম্বাবুয়ে। ওপেনার ওয়েসলি মাধেভেরের অর্ধশতক ও রেগিস চাকাবার ঝড়ো ব্যাটে ১৯৩ রান তোলে স্বাগতিকরা। বড় লক্ষ্য তাড়ায় সৌম্য সরকার ও শামীম পাটোয়ারির দৃঢ়তায় দারুণভাবে ম্যাচের ফিরে বাংলাদেশ। নির্ধারিত ওভারের চার বল বাকি থাকতেই পাঁচ উইকেট হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। এতেই তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ জিতে নেয় টাইগাররা।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। মাত্র ২০ রানেই ফেরেন ওপেনার নাঈম শেখ। তিনে এসে আশা জাগান সাকিব আল হাসান। ওপেনার সৌম্য সরকারের সঙ্গে ৫০ রানের জুটি গড়েন তিনি। অষ্টম ওভারে জঙউইকে পরপর দুটি ছক্কা হাঁকান তিনি। ওই ওভারের চতুর্থ বলেই ১৩ বলে ২৫ রান করে বিদায় নেন সাকিব।
তৃতীয় উইকেটের জুটিতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে দারুণ ব্যাট করতে থাকে সৌম্য। ১২তম ওভারের চতুর্থ বলে জঙউইকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ক্যারিয়ারের পঞ্চম অর্ধশতক তুলে নেন বাঁ হাতি এই ব্যাটসম্যান। দুর্দান্ত ব্যাট করেও সাকিবের পথেই হাঁটলেন তিনি। ৪৯ বলে ৬৮ রান করে লং অফে মুসাকান্দার হাতে নিজের উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন এই ওপেনার।
দলীয় ১৫০ রানের মাথায় আফিফ হোসেনকে ফেরান উইলিংটন মাসাকাদজা। মাত্র ৫ বলে দুই ছয়ে ১৪ রান করেন এই ব্যাটসম্যান। পঞ্চম উইকেটের জুটিতে মাঠে আসেন শামীম পাটোয়ারি। চলতি সিরিজে অভিষেক হওয়া এই ব্যাটসম্যানকে নিয়ে রানের চাকা দ্রুত এগিয়ে নেন মাহমুদউল্লাহ। ১৮তম ওভারে শেষ তিন বলে তিন বাউন্ডারিতে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন শামীম। তার ১৫ বলে অপরাজিত ৩১ রানে ভর করে ৫ উইকেটের জয় পায় বাংলাদেশ।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে এসে দারুণ শুরু জিম্বাবুয়ে। মাত্র ২৬ বলেই দলীয় অর্ধশতক তুলে নেন দুই ওপেনার তাদিওয়ানাশে মারুমানি ও ওয়েসলি মাধেভেরে। খানিক পরই ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে বিধ্বংসী মারুমানিকে (২৭) বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান সাইফউদ্দিন। তাতেও থামেনি জিম্বাবুয়ের রানের গতি। তিনে আসা রেগিস চাকাবা সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা এগিয়ে নেন মাধেভেরে। মাত্র ৯ ওভার ৩ বলেই দলীয় সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তারা।
দলীয় ১২২ রানের মাথায় বিধ্বংসী হয়ে ওঠা চাকাবাকে সাজঘরে ফেরান সৌম্য সরকার। বাউন্ডারি থেকে নাঈম শেখের হাত ঘুরে বলটি তালুবন্দি করে শামীম পাটোয়ারি। এতেই থামে চাকাবার ২২ বলে ৪৮ রানের ইনিংস। একই ওভারের পঞ্চম বলে জিম্বাবুয়ে অধিনায়ককে শূন্য রানে ফেরান সৌম্য। এই পেসারের পরের ওভারে চার মেরে সিরিজের দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেন মাধেভেরে। মাত্র ৩১ বলে ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফ সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন তিনি।
১৬তম ওভারে বল করতে এসে প্রথম বলেই মাধেভেরেকে সাজঘরে ফেরান সাকিব আল হাসান। ৩৬ বলে ছয় চারে ৫৪ রান করেন তিনি। শেষের দিকে ডিয়ন মায়ার্স ও রায়ান বার্ল মিলে আবারও রানের চাকা দ্রুত এগিয়ে নেন। তাদের ব্যাটেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রান তোলে স্বাগতিকরা।