নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুগ্রুপের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্বের জের ধরে কাদের মির্জার দুই অনুসারীকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেফতার দুই আসামিকে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়।
এর আগে সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে কাদের মির্জার অনুসারী খান সাবকে বসুরহাট পৌরসভা থেকে ও শিপনকে বসুরহাট পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের করালিয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, নূর হোসেন ওরফে খান সাব ওরফে লাইভ খান্না (৪২), সে মুছাপুর ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও একই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত নূর নবী কমান্ডারের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ফেসবুক লাইভে এসে আপত্তিকর ভাষায় কাদের মির্জার প্রতিপক্ষদের নিয়ে বিভিন্ন উসকানিমূলক বক্তব্য রাখার অভিযোগ রয়েছে। এমরাদ হোসেন শিপন (৩৬) বসুরহাট পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আবুল কাশেমের ছেলে।
পুলিশ জানায়, গ্রেফতার আসামিদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার পলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, অভিযুক্ত দুই আসামিকে সোমবার দিবাগত রাতে নোয়াখালী পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে। পরে রাতেই ডিবি পুলিশ তাদের কোম্পানীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। দুপুরে গ্রেফতার আসামিদের বিচারিক আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের শাহ আলমের চা দোকানে কাদের মির্জার চার অনুসারীর ওপর হামলা চালায় মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। আহত ব্যক্তিদের অভিযোগ, হামলাকারীরা আওয়ামী লীগের নেতা মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারী।
এ অভিযোগে সোমবার দিবাগত রাতে কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের দুই অনুসারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, চরফকিরা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত সেলিম উল্যাহ বাবুর ছেলে সোহাগ (৩৫) একই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের রফিক উল্যার ছেলে নজরুল ইসলাম মানিক (৩৪)। মঙ্গলবার দুপুরে তাদের বিচারিক আদালতে সোপর্দ করা হবে।