বার্সেলোনার হয়ে খেলার সময় নিজ বাড়িতেই থাকতেন লিওনেল মেসি। তবে বার্সা ছেড়ে প্যারিস সেন্ট জার্মেইতে (পিএসজি) যোগ দেওয়ার পর এখনো হোটেলই রয়েছেন তিনি। ক্লাবের সঙ্গে সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে। এখন ক্লাবের পছন্দ করে দেওয়া বাড়িতেই উঠবেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। তবে তার আগে প্যারিসের লে রয়্যাল মনচিআও হোটেলে থাকছেন মেসি।
২০১৭ সালে বার্সা ছেড়ে প্যারিসে পাড়ি জমানোর পর নেইমারও একই হোটেলে উঠেছিলেন। পরে পিএসজির দেওয়া বাড়িতে ওঠেন ব্রাজিলিয়ার তারকা ফরোয়ার্ড। স্পেন ছেড়ে ফ্রান্সে পাড়ি জমানো মেসিকে স্বাগত জানিয়েছেন পিএসজিতে থাকা তার সতীর্থরা। পিএসজিতে এসে সতীর্থ হিসেবে পাচ্ছেন রিয়াল মাদ্রিদে হয়ে দীর্ঘ সময় খেলা সের্হিও রামোসকে।
লা লিগায় মেসি রামোসের দ্বৈরথ ছিল শত্রুর মতো। অথচ পিএসজি তাদের বানিয়ে দিলো বন্ধু। মেসি প্যারিসে আসার পরপরই মেসিকে নিজ বাড়িতে থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানান রামোস। যদিও মেসি তার প্রস্তাবে রাজি হননি। তিনি হোটেলেই থাকতে চাচ্ছেন। পরিবারসহ প্যারিসের লে রয়্যাল মনচিআও হোটেলে থাকা মেসি বেশ ভালোই আছেন বলা যায়। কেননা এই হোটেলটিতে বেশ কয়েকটি দেশের খাবার পাওয়া যায়। তার মধ্যে রয়েছে জাপান বা পেরুর খাবার।
তবে এখানে সবচেয়ে আকর্ষণের বিষয় হলো, হোটেল থেকে কার্যত গোটা প্যারিসই ছবির মতো দেখা যায়। কিংবদন্তি এই ফুটবলার এখানে বিনোদনের সবকিছুই পেয়ে যাচ্ছেন। শিল্প প্রদর্শনী থেকে গানবাজনার অনুষ্ঠান কী হয় না এখানে! এমনকি মেসিকে পিএসজি দিচ্ছে ‘ক্রিপ্টোকারেন্সির’ সুবিধাও। যা এক ধরনের ‘ভার্চুয়াল’ মুদ্রা। ইন্টারনেটের মাধ্যমে যার লেনদেন শুধুই অনলাইনে করা যায়। এবং গোটা ব্যাপারটা খুবই সুরক্ষিত।
রয়্যাল মনচিআও হোটেলে এসব সুবিধা থাকলেও এর ভাড়া খুবই ব্যয়বহুল। এখানে থাকতে খরচ করতে হচ্ছে বিপুল পরিমাণ অর্থও। দৈনিক এই হোটেলের ভাড়া ১৭ হাজার পাউন্ড, যা বাংলাদেশি টাকার অঙ্কে প্রায় ২০ লাখ (১৯ লাখ ৯৩ হাজার ৬৪৩ টাকা)। তবে মেসির সঙ্গে পিএসজির চুক্তি অনুযায়ী তার দৈনিক আয় বাংলাদেশি টাকায় এক কোটিরও বেশি।