কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জিয়ার জামিন আবেদন শুনানি শুরু হয় আজ সকালে। তার জামিন আবেদন শুনানিকে কেন্দ্র করে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ব্যাপক পুলিশি নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে আট টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সরেজমিনে দেখা যায়, বিপুল পরিমাণ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা এখানে অবস্থান করছেন। সকাল থেকে কার্যালয়ের ভেতরে কিছু নেতাকর্মী প্রবেশ করতে দেখা গেলেও কার্যালয়ের সামনে একদম নেতাকর্মীশূন্য।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবারও বিএনপি চেয়ারপার্সনের জামিন শুনানির দিন ধার্য থাকলেও ঐদিন বিএসএমএমইউতে স্বাস্থ্য প্রতিবেদন না আসায় ৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জামিন হয়নি আপিল বিভাগে। পরে ওই দিন ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত জামিন শুনানি মুলতবি করেছেন আদালত। এই সময়ের মধ্যে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর ‘শারীরিক অবস্থার সবশেষ অবস্থা’ জানিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বেগম জিয়ার আইনজীবীদের করা আবেদনের আংশিক শুনানি নিয়ে জামিন আদেশের জন্য ৫ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে রিপোর্ট জমা দিতে সংশ্লিষ্ট মেডিকেল বোর্ডকে নির্দেশ দেন আদালত।
গত ২৫ নভেম্বর বেগম জিয়ার জামিন আবেদন বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য থাকলে ওইদিনও পূর্ণাঙ্গ শুনানি গ্রহণের ইচ্ছে পোষণ করে আদেশের জন্য ২৮ নভেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ। ২৮ নভেম্বর আংশিক শুনানি গ্রহণ করে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে রিপোর্ট জানতে চান আদালত।
মামলায় চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল ৭ বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে বেগম জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে অর্থদণ্ড স্থগিত ও সম্পত্তি জব্দের ওপর স্থিতাবস্থা দিয়ে দুই মাসের মধ্যে মামলার নথি তলব করেন আদালত। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২০ জুন বিচারিক আদালত থেকে হাইকোর্টে পাঠানো হয় মামলার নথি।
তবে দুদকের করা এক আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ৩১ জুলাই বেগম জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
সবশেষ গেল ১৪ নভেম্বর হাইকোর্টের জামিন খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। ওইদিনই আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় ১৪০১ পৃষ্ঠার এ আপিল আবেদন দাখিল করা হয়।
১৭ নভেম্বর জামিন আবেদন উপস্থাপনের পর চেম্বার বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান শুনানির জন্য ২৫ নভেম্বর তা পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানোর আদেশ দেন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান জিয়া।