বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, টর্চার সেলে অমানুষিক নির্যাতন, মারামারি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, হলের সিট বিক্রি, মাদকাসক্তি এবং আধিপত্য বিস্তারের অশুভ লক্ষ্যে পেটোয়া বাহিনী গঠন করা হয়েছে। র্যাগিংয়ের নামে ছাত্রছাত্রীদের প্রতিনিয়ত করা হচ্ছে নির্যাতন ও হয়রানি। সম্প্রতি এসব কাহিনী পত্রপত্রিকাসহ সব মিডিয়ায় বড় শিরোনামে প্রচার পাচ্ছে। সাথে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের আচরণ এবং তাদের গৃহীত কর্মকাণ্ড ক্যাম্পাসে যে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে, তাতে দেশের সুধী সমাজসহ সব শ্রেণী-পেশার মানুষ মারাত্মকভাবে উদ্বিগ্ন ও মর্মাহত। যেকোনো দেশের বিশ্ববিদ্যালয় সে দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উচ্চশিক্ষা লাভের একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এখানে মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা জাতিকে এগিয়ে নিতে, দেশ ও জনগণের সেবা করার লক্ষ্যে উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করছে। তারা অধিকতর যোগ্যতা অর্জনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণ লাভ করে থাকে। প্রতিটি ছাত্রছাত্রী উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সাথে সাথে গবেষণা, মুক্তবুদ্ধির বিকাশ এবং সংস্কৃতি চর্চার সুযোগ নিয়ে থাকে। আমাদের দেশে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের জন্য যারা সুযোগ পায়, তারা নিজেদের সৌভাগ্যবান মনে করে। এটা খুবই স্বাভাবিক। বলাবাহুল্য, বাংলাদেশে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উচ্চতর গ্রেড পেয়ে মেধার যোগ্যতা ও প্রতিযোগিতার মাধ্যমে প্রকৌশল, মেডিক্যাল ও সাধারণ শিক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে সুযোগ পাচ্ছে অনেকে। নিঃসন্দেহে এই ছাত্রছাত্রীরা তাদের বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন ও শিক্ষক-শুভাকাক্সক্ষীসহ সবার কাছে ‘সোনার ছেলেমেয়ে’ হিসেবে বিবেচিত হয়।
অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, সম্প্রতি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সোনার ছেলেদের অনেকের বিরুদ্ধে হত্যা, লাঠিপেটার নির্যাতন, মাদকাসক্তি, টর্চার সেল তৈরিসহ নানা অনৈতিক ও অমানবিক কার্যকলাপের খবর সবার মুখে মুখে। ৬ অক্টোবর রাতে বাংলাদেশে প্রকৌশল শিক্ষার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরেবাংলা হলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হাতে তাদের সতীর্থ আবরার ফাহাদ নৃশংসভাবে খুন হয়েছে। এই খবরে সমগ্র জাতি স্তম্ভিত, মর্মাহত ও বিস্ময়ে হতবাক। আবরারকে তার রুম থেকে ডেকে নিয়ে একই হলের ২০০১ নং কক্ষে রাত ১০টা থেকে আনুমানিক সাড়ে চার ঘণ্টা বিরতিহীনভাবে ১১ জন ছাত্র হকিস্টিক, রড ও চেইন দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। একই হলের আরো ১৪ জন ছাত্র এ জঘন্য হত্যাকাণ্ডে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছে। প্রকাশিত খবরে জানা যায়, আবরারের ওপর পৈশাচিক নির্যাতনের সময় সে বেশ ক’বার পানি পান করতে চেয়েছে, দু’বার বমি করেছে এবং বাঁচার জন্য প্রাণভিক্ষাও চেয়েছিল। কিন্তু ছাত্র নামধারী নরপশুদের মনে কোনো প্রতিক্রিয়া হয়নি, কোনো দয়ামায়া হয়নি। বরং তাকে আমৃত্যু পিটুনির যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে। ভাবতেই কষ্ট হয়, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ২৫ জন ছাত্র কিভাবে তাদেরই একজন মেধাবী সহপাঠী ফাহাদকে এত নিষ্ঠুর, নৃশংস, বর্বরোচিত ও দানবীয় কায়দায় হত্যা করতে পারল।
বুয়েট ছাত্রলীগের এই ২৫ জন ছাত্রের সাথে আবরার ফাহাদের কোনো ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল না, বিরোধ ছিল না বা অতীতে তাদের সাথে কোনো বিভেদও ছিল না। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যে চারটি জাতীয় স্বার্থবিরোধী চুক্তি হয়েছে, তার সমালোচনা করেছিল আবরার। তার ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিল মাত্র। স্ট্যাটাসে সর্বশেষে একটি কবিতা উদ্ধৃত করেছিল; যা নিম্নরূপ-
‘পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি
এ জীবন মন সকলি দাও,
তার মতো সুখ কোথাও কি আছে?
আপনার কথা ভুলিয়া যাও।’
এই স্ট্যাটাসটি তার অপরাধ ছিল, যার জন্য জীবন দিতে হলো। দেশে তথ্য ও প্রযুক্তি আইন বিদ্যমান আছে। স্ট্যাটাসে যদি আপত্তিকর কিছু থাকে, তা হলে প্রচলিত আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা হতে পারত, বিচার হতে পারত। অপরাধী প্রমাণিত হলে শাস্তি হতো। কিন্তু এই অজুহাতে শেরেবাংলা হলের ২৫ জন ছাত্র আবরারকে পিটিয়ে হত্যার অধিকার কোথায় পেল? তাদের কে এ জন্য লাইসেন্স দিয়েছে?
বুয়েটে আবরার হত্যাকাণ্ড বর্তমান অনির্বাচিত ও গায়ের জোরের সরকারের আমলে কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। গত দশ বছরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হাতে নিহত হয়েছে- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আটজন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচজন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন, কৃষি বিশ্বববিদ্যালয়ের দু’জন, এইচএসটি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন শিক্ষার্থী। এসব হত্যাকাণ্ডের যদি সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার করা হতো, তাহলে হয়তো বুয়েটে এই পৈশাচিক ঘটনা ঘটত না।
আবরারের বিষয়ে মন্তব্য করতে গেলেই বলা হয়, আবরার হত্যাকাণ্ড নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। তাই এ লেখার প্রধান লক্ষ্য, আবরারের হত্যাকারী হিসেবে চিহ্নিত বুয়েটের ২৫ জন ছাত্রের বিষয় নিয়ে। আবরার সঙ্ঘাতময় ও অস্থির সমাজের সব ভবিষ্যৎ ঝুঁকি থেকে চিরতরে মুক্তি পেয়েছে। অথচ তার হত্যাকারী ২৫ জন মেধাবী ছাত্রের ভবিষ্যৎ কত কদর্য, বেদনাদায়ক ও অসার হয়ে গেল- তা ভাবতেও কষ্ট হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান অত্যন্ত দক্ষতার সাথে, অতিদ্রুত বুয়েট ছাত্রলীগের এই ২৫ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ১৩ নভেম্বর সিএমএম কোর্টে চার্জশিট দাখিল করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, চার্জশিট নির্ভুল হয়েছে। বুয়েট কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে ২৬ জন ছাত্রকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করেছে এবং বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করে দিয়েছে।
আবরার হত্যার সাথে জড়িত ২৬ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। র্যাগিংয়ের ঘটনায় জড়িত থাকায় বুয়েট থেকে আরো ২৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেয়া হয়েছে। তারা কারা? এই ছেলেরা এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে সেরা ছাত্র বলে স্বীকৃত। এদের নিয়ে তাদের বাবা-মা, আত্মীয়স্বজন, শিক্ষক ও আশপাশের মানুষ গর্বিত ছিল। এরা তো সবাই ‘সোনার ছেলে’ হিসেবে সমাজে পরিচিত হতো, আর সে যোগ্যতার বলেই তারা বুয়েটের মতো বিদ্যাপীঠে অধ্যয়নের সুযোগ পেয়েছিল। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, সোনার ছেলেগুলো বুয়েটের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর মানুষ নয়, দানবে পরিণত হয়ে গেল। কারা এই সোনার ছেলেদের দানবে রূপান্তরিত করল, তা আজ সমাজের সব মহলের জিজ্ঞাসা। এই ছেলেগুলোর অনেক স্বপ্ন-উচ্চাশা ছিল। তাদের বাবা-মা তাদের ঘিরে কত সোনালি স্বপ্ন বুনেছিলেন। এদের সব স্বপ্ন আজ ধুলোয় মিশে গেল। এ দায় কার? এ দায় তো কেউ না কেউ নিতে হবে।
শুধু বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ই নয়, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে এর আগে যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, সেসব ঘটনায় নিহত ও হত্যাকারী সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পাওয়া মেধাবী ছাত্র, সোনার ছেলে। কয়েক বছর আগে দিনদুপুরে প্রকাশ্যে রাজধানীর রাস্তায় বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের বিচারের রায়ে ফাঁসির শাস্তি পাওয়া সব ছাত্রই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। যারা খালাস পেয়েছে, তারাও ছাত্রলীগের সদস্য। বুয়েট ও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতরা সবাই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী বলে চিহ্নিত। বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মেধাবী হওয়ার পরও এত বেপরোয়া, উচ্ছৃঙ্খল ও দানবীয় আচরণে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে, তা নিয়ে দেশের জনগণ উদ্বিগ্ন। ঘটনাবলির বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, তারা তাদের নিজস্ব বলয়ে কর্তৃত্ববাদী প্রভাব বিস্তার করার জন্য ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক প্লাটফরম ব্যবহার করেছে। তারা এই রাজনৈতিক পরিচয়কে ‘শেল্টার’ হিসেবে গ্রহণ করছে। তাদের পরিমণ্ডলে রাজত্ব কায়েম করে বিভিন্ন ফায়দা হাসিল করছে। ফলে দেখা যায়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর থেকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ৮৬ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে দল থেকে তাদের বহিষ্কার করা হয়। শ্রুতি আছে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাদের ওই ভিসি এক কোটি ৬০ লাখ টাকা ‘ঈদের বখশিস’ হিসেবে দিয়েছিলেন। সরকার সমর্থিত ছাত্র নেতাদের বিরুদ্ধে শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরেই নয়, বাইরেও টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজিসহ অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে যা এখন ওপেন সিক্রেট। এক সময়ে যে ছাত্র রাজনীতি আদর্শভিত্তিক ও গৌরবের ছিল, তা বর্তমানে ফায়দাভিত্তিক বা ব্যবসাভিত্তিক অপরাজনীতিতে পরিণত হয়েছে।
ছাত্র রাজনীতির এহেন অবক্ষয় চরম আত্মঘাতী। এ জন্য কি শুধু ছাত্ররাই দায়ী? বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, সমাজব্যবস্থা এবং সরকারের কী কোনো ভূমিকা নেই? দায়বদ্ধতা নেই? ১৯৭৩ সালে যে মহান উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয় অর্ডিন্যান্স প্রণয়ন করা হয়েছিল- তা অনুসরণ করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিচালিত হচ্ছে না। বিগত ১০ বছর যাবৎ অর্ডিন্যান্সের বিধিবিধানকে উপেক্ষা করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি, প্রো-ভিসিসহ গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে সরকার শুধু দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ দিয়েছে। আনুগত্যের কাছে যোগ্যতা, দক্ষতা ও সততা নির্মমভাবে মার খেয়েছে, পরাজিত হয়েছে। ক্যাম্পাসগুলোতে উদার, মুক্ত ও নিরাপদ শিক্ষার পরিবেশ না থাকায় ছাত্রছাত্রীরা প্রকৃত জ্ঞান অর্জন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। জ্ঞানলাভের সাথে সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে গবেষণা। বলার অপেক্ষা রাখে না, বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্ত চিন্তা ও মতপ্রকাশের নিরঙ্কুশ স্বাধীনতা ছাড়া গবেষণার কাজও সম্ভব নয়। খুবই দুঃখজনক যে, বর্তমান বিশ্বের এক হাজারটি সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পায়নি।
বর্তমানে আশঙ্কাজনকভাবে অপরাজনীতি বিদ্যমান থাকায় প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে চরম অস্থিরতা বিরাজমান। ছাত্র-শিক্ষকরা এক কাতারে শামিল হয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছেন। এই অপরাজনীতির কারণে ঢাকার আহসান উল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বনির্ধারিত সমাবর্তন শেষ সময়ে এসে বাধ্য হয়ে বাতিল করা হয়েছে। উচ্চতর শিক্ষার এই স্তরে এ ধরনের নৈরাজ্য, অরাজকতা ও অস্থিরতা কোনোভাবেই কাম্য নয়। একটি দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেলে জাতির অস্তিত্ব বিপন্ন হতে বাধ্য। বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শান্তি-শৃঙ্খলা, মুক্ত জ্ঞানচর্চা ও শিক্ষার পরিবেশ দ্রুত পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা জরুরি। শিক্ষা ক্ষেত্রে এই অস্থিরতা, বিশৃঙ্খলা ও রাজনীতির নামে টেন্ডারবাজি এবং দুর্বৃত্তপনা বন্ধ করতে প্রয়োজন জনগণের নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার। পরিস্থিতি উন্নয়নে গণতান্ত্রিক সরকারের সদিচ্ছা, নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি ও আন্তরিক সহযোগিতা থাকা অপরিহার্য। জনগণের প্রত্যাশা, দেশের সোনার ছেলেরা ক্যাম্পাস থেকে আর দানবে রূপান্তরিত হবে না। ‘সোনার ছেলে’র গৌরব নিয়ে জাতির ভবিষ্যৎ সুনাগরিক ও যোগ্য কাণ্ডারি হিসেবে তারা আত্মপ্রকাশ করতে পারে, এমন পরিবেশ পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে হবে। আর সৃষ্টি করতে হলে দেশের জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধিত্বকারী, সব ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের অধিকারী, দেশপ্রেমিক ও গণমুখী নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই। এই লক্ষ্য পূরণে জনগণের মধ্যে যত দ্রুত ঐক্য ও সচেতনতা সৃষ্টি হবে, দেশের জন্য ততই মঙ্গল।
লেখক : সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী, সদস্য, জাতীয় স্থায়ী কমিটি-বিএনপি এবং সাবেক অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান, ভূ-তত্ত্ব বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।