বিএনপির সিনিয়র নেতারা বলেছেন, দেশে এখন দুটি অসুর চেপে বসে আছে। একটা হচ্ছে বৈশ্বিক করোনা ভাইরাস, আরেকটি হচ্ছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার আর কোনো পুঁজি নেই। এ কারণেই চল্লিশ বছর পর জিয়াউর রহমানকে নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলেছে।
সোমবার রাতে হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব জন্মাষ্টমী উপলক্ষে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় নেতারা এসব কথা বলেন।
বিএনপির উদ্যোগে এই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। অনুষ্ঠানের শুরুতে গীতা পাঠ করেন রাজধানীর স্বামীবাগের ইসকনের শ্রীমান তেজো গোবিন্দ দাস ব্রম্মাচারী।
হিন্দু-বৌদ্ধ, খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সভাপতি অ্যাডভোকেট গৌতম চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে ও অমলেন্দ দাস অপুর পরিচালনায় আরো বক্তব্য দেন- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, গণফোরামের অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বিজন কান্তি সরকার, কেন্দ্রীয় নেতা জয়ন্ত কুমার কুন্ড, অর্পনা রায় দাস, রমেশ দত্ত, দেবাশীষ রায় মধু, নিপুণ রায় চৌধুরী, তরুন দে, রামকৃষ্ণ মিশনের কালী কৃষ্ণানন্দা মহারাজ প্রমুখ।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সম্পর্কে কটূক্তি করছেন। আপনি মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন কি না তা প্রমাণ করতে হবে। আপনি যে মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী সেটি সৃষ্টি করেছেন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া, বিএনপি সৃষ্টি করেছিল। আজকে মুক্তিযোদ্ধাদের আপনি অপমান করছেন। তার জন্য আপনাকে অবশ্যই জাতির সামনে জবাবদিহি করতে হবে।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের লাশ নাকি তার মাজারে (চন্দ্রিমা উদ্যানে) নেই। এটা কতদিন পর বলল ? চল্লিশ বছর পর। জিয়াউর রহমানের মরদেহ চট্টগ্রাম পাহাড়ের কাছ থেকে তুলে সেখানকার সিএমএইচ-এ পোস্ট মোর্টেম করা হয়। ডা. তোফায়েল আহমেদ তার পোস্ট পোর্টম করেছিলেন এবং ২২ টি বুলেট তার শরীর থেকে বের করা হয়েছিল। সামরিক এয়ার ক্রাফটে করে ঢাকায় আনা হয়। জিয়াউর রহমানের লাশ ঢাকা সিএমএইচও ছিল। দেশের মানুষকে মরদেহ দেখার জন্য সংসদ ভবন এলাকায় রাখা হয়েছিল। সেখানে লাখ লাখ মানুষ জিয়াউর রহমানের মরদেহ প্রত্যক্ষ করেছেন। জিয়াউর রহমানের লাশের সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সর্বত্র ছড়িয়ে আছে।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, জিয়াউর রহমান যে যুদ্ধ করেছে তার প্রমাণ কী। আমি আইনমন্ত্রীকে বলব, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর স্বামী প্রয়াত ওয়াজেদ সাহেব পত্রিকায় একটা কলাম লিখেছিলেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, আমি এবং শেখ হাসিনা নিজ কানে ২৭ মার্চ জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা শুনেছি। আর কী প্রমাণ চান? আসলে যারা যুদ্ধ করেনি,তাদের কাছে জিয়াউর রহমান যুদ্ধ করেছেন-তা প্রমাণ দেওয়ার প্রয়োজন মনে করি না।