আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আইনি বাধার কারণে বিভিন্ন দেশে পালিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধু ও বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না। তবে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে থাকাদের বিষয়ে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে।’
শনিবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন-সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম প্রুমখ।
কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব না হওয়ার কারণ আছে। সেটা হচ্ছে, দেশে তারা পালিয়ে আছে সে দেশের আইনগত বাধা আছে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের আনা আইনে অ্যালাউ করে না তারা। তারপরেও যুক্তরাষ্ট্রে যারা পালিয়ে আছে, তাদের ফিরিয়ে আনতে একটু অগ্রগতি হয়েছে। আমরা বোধ হয় তাড়াতাড়িই ফিরিয়ে আনতে পারব।’
তিনি বলেন, ‘বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মইনুদ্দিন চৌধুরী, আশরাফদেরকেও ফিরিয়ে আনতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করা হয়েছে৷ আজকের দিনে আমাদের অঙ্গীকার হচ্ছে যে, বুদ্ধিজীবীদের যারা হত্যা করেছে, একাত্তরের প্রেতাত্মা, সাম্প্রদায়িক নব অপশক্তি আজও এরা বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে, এ বিষবৃক্ষের মূল উৎপাটন করা। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এদেরকে প্রতিহত করব, পরাজিত করব। আজকের এ দিনে এটাই আমাদের অঙ্গীকার।’
সংগ্রাম পত্রিকার বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছি। ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তালিকা একটা আছে। এটা যাচাই বাছাই করে দেখা হচ্ছে। এখানে কোনো প্রকার ভুল ত্রুটি আছে কি-না। তাতে সংযোজন, সংশোধন ও বিয়োজন হতে পারে।’