সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মাওলানা আ ন ম শামসুল ইসলাম এবং তার বাবুর্চি ইমাম হোসেনের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রাজধানীর ভাটারা থানার সন্ত্রাস বিরোধ আইনের একটি মামলায় আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস এ রিমান্ডের আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান জোনাল টিমের পরিদর্শক (নি.) কাজী ওয়াজেদ মিয়া আসামিদের আদালতে হাজির করে আসামিদের ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, গ্রেপ্তার এ দুই আসামির সঙ্গে দেশের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করাসহ ব্যক্তি সত্ত্বা বা প্রজাতন্ত্রের সম্পত্তির ক্ষতিসাধনসহ শেখ হাসিনা সরকারকে অবৈধভাবে উৎখাত করার উদ্দেশ্যে গোপন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল।
আর আসামিরা কীভাবে এ ধরনের কাজে নিয়োজিত হয়েছিল এবং আরও কে কে এ কাজে জড়িত তা এখনো সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি। আসামিরা দেশের জননিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করাসহ বর্তমান সরকারকে অবৈধভাবে উৎখাত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার বিষয়ে আর কবে, কয়দিন এবং কোথায় কোথায় ও কীভাবে গোপন ষড়যন্ত্র ও শলাপরামর্শ করেছে তা জানার জন্য রিমান্ড প্রয়োজন। আসামিদের পক্ষে অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত চারদিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে গত বুধবার রাত ১টার দিকে সাদা পোশাকে সাত-আটজনের একটি দল ডিবি পুলিশ পরিচয়ে রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে তাকে আটক করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন তার পরিবার। আ ন ম শামসুল ইসলাম বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি।
এর আগে এ মামলায় গত ৭ সেপ্টেম্বর জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ নয়জনের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গত ৬ সেপ্টেম্বর রাতে ভাটারা এলাকা থেকে গোলাম পরওয়ারসহ নয়জনকে আটক করে পুলিশ। বৈঠকে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র ও নাশকতার পরিকল্পনা করার অভিযোগে ভাটারা থানার এসআই হাসান মাসুদ মামলাটি দায়ের করেন।