বাল্টিমোর, মেরিল্যান্ড: যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ড স্টেটের বাল্টিমোর শহরের একটি রাস্তা থেকে বাংলাদেশের প্রথম স্বৈরশাসক ঠান্ডা সাথার খুনি হিসাবে আদালত কর্তৃক স্বীকৃত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারী জিয়াউর রহমানের নামের নামফলক সরিয়ে ফেলেছে স্থানীয় প্রশাসন। বাল্টিমোরের ২০০ ওয়েস্ট সারাটগা স্ট্রিটে গত জুন মাসে ‘জিয়াউর রহমান ওয়ে’ নামফলক লাগানো হয়েছিল। বৃহস্প্রতিবার দুপুরে সিটির কর্মকর্তারা সেটি খুলে নিয়ে যান।
স্থানীয় বাসিন্দা যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক শামীম চৌধুরী বলেন, “জিয়াউর রহমান একজন ঠান্ডা মাথার ঘাতক। তার নামে ওই সড়কের নামকরণের পর আমরা মেয়র অফিসে আপত্তি জানিয়েছিলাম। অবশেষে সিটি মেয়র ব্র্যান্ডন এম স্কট অনুধাবন করেছেন যে এমন একজন মানুষকে এভাবে সম্মান জানানো উচিত হয়নি।“ মেয়রের নির্দেশে সিটির ট্রান্সপোর্টেশন ডিভিশনের কর্মকর্তারা ওই নামফলকটি সরিয়ে নিয়ে গেছেন বলে শামীম চৌধুরী জানান।
প্রবাসী বিএনপির নেতা-কর্মীদের উল্লাসের মধ্যে গত ২০ জুন নগর প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই নামফলক উন্মোচন করা হয়েছিল। সেটি সম্ভব হয়েছিল ম্যারিল্যান্ড স্টেট বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য এবং স্থানীয় ব্যবসায়ী মোহাম্মদ কাজলের চেষ্টায়। জিয়াউর রহমানের নামে এই সড়কের নামকরণ করার পর প্রবাসীদের একাংশ ক্ষোভ প্রকাশ করে বাল্টিমোর সিটি এবং ম্যারিল্যান্ড স্টেট প্রশাসনে আবেদন জানিয়েছিলেন সেটা নামিয়ে ফেলার জন্য।
নামফলকটি সরিয়ে নেয়ার খবের সাথে সাথে বাল্টিমোর সিটির সারাটোগা স্পটে ছুটে যান মেট্রো ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি শিব্বীর আহমেদ, সহ সভাপতি জুয়েল বড়ুয়া, বৃহত্তর ওয়াশিংটন যুবলীগ সভাপতি দেওয়ান আরশাদ আলী বিজয় সহ অন্যান্যরা। স্পট থেকে ওয়াশিংটন আওয়ামী লীগ নেতা শিব্বীর আহমেদ বললেন, বাল্টিমোরের কর্তৃপক্ষ নামফলক নামিয়ে ফেলায় প্রবাসীরা ‘আনন্দিত’ হয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তির বিজয় হয়েছে।
জুয়েল বড়ুয়া বলেন, খুনি জিয়ার নাম রাস্তা থেকে সরিয়ে ফেলেছে কর্তৃপক্ষ এজন্য কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই। দেওয়ান আরশাদ আলী বিজয় বলেন, সত্যকে কোনদিন ধামাচাপা দিয়ে রাখা যায়না। খুনিচক্র দেশে বিদেশে প্রপাগান্ডা ছড়িয়ে স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকান্ডে লীপ্ত রয়েছে। এ ব্যাপারে সবার সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিউ ইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, “বাঙালি জাতির মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ঘাতক হিসেবে জিয়াউর রহমানকে ইতিহাসের কাঠগড়ায় অবশ্যই দাঁড়াতে হবে। একদল লোক মার্কিন প্রশাসনকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করেছিলেন, আমরা লাগাতার চেষ্টায় সেটি সংশোধনে সক্ষম হলাম।”