সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:১২ অপরাহ্ন

পরীমনিকে দফায় দফায় রিমান্ড : ক্ষমা চাইলেন দুই বিচারক

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ১৫৭ বার

চিত্রনায়িকা পরীমনিকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা রিমান্ডে পাঠানো নিম্ন আদালতের দুই বিচারক হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। দুই বিচারক হলেন দেবব্রত বিশ্বাস ও আতিকুল ইসলাম।

রিমান্ডের বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হলে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের ওই দুই বিচারক লিখেছেন- এটি অনিচ্ছাকৃত ভুল। এদিকে হাইকোর্টের তলবে হাজির হয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। আজ বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হবে।

এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর চিত্রনায়িকা পরীমনিকে দফায় দফায় রিমান্ড মঞ্জুরের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট বিচারকদের কাছে ব্যাখ্যা চান হাইকোর্ট। পরিমনির মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেন হাইকোর্ট। এছাড়া পরীমনির বিরুদ্ধে বনানী থানায় দায়ের করা মাদক মামলার সব নথি ও মামলার কেস ডকেটও তলব করা হয়েছে।

বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওইদিন এ আদেশ দেন।আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না ও সৈয়দা নাসরিন।

গত ২৯ আগস্ট উচ্চ আদালতের রায় না মেনে মাদক মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনিকে বারবার নেওয়া রিমান্ড চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। আবেদনে পরীমনিকে রিমান্ডে নেওয়ার ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের রায় না মানার অভিযোগ আনা হয়।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষে অ্যাডভোকেট সৈয়দা নাসরিন এ আবেদন দায়ের করেন। গত ১৯ আগস্ট রাজধানীর বনানী থানায় দায়ের করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় পরীমনির তৃতীয় দফা রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। সিআইডির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত পরীমনির একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে পরীমনিকে প্রথম দফায় চার দিন ও দ্বিতীয় দফায় দুদিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি।

গত ৪ আগস্ট পরীমণিকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন র‍্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. মজিবর রহমান।

এদিকে গত ২৬ আগস্ট হাইকোর্ট পরীমনিকে জামিন না দিয়ে তার আবেদন শুনানি প্রশ্নে রুল জারি করেন। রুলে রাজধানীর বনানী থানায় দায়ের করা মাদক মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনির জামিন আবেদন আদেশ পাওয়ার দুই দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। এছাড়া পরীমনির জামিন আবেদন শুনানির জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর নির্ধারণ করে নিম্ন আদালতের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়। হাইকোর্টের আদেশের আলোকে গত ৩১ আগস্ট পরীমনিকে জামিন দেন বিচারিক আদালত।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com