সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনে নেতা-কর্মীদের সংগঠিত হতে আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। আজ শুক্রবার এক আলোচনা সভায় আন্দোলনের জন্য নেতা-কর্মীদের প্রস্তুত হওয়ার এ আহবান জানান তিনি। জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী নাগরিক সমাজের উদ্যোগে নবগঠিত কমিটির অভিষেক উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘সরকার কয়েকদিন পর পরে আমাদেরকে ইস্যু দেয়, আমরা তা নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করি। এসব বাদ দিয়ে একটাই ইস্যু হতে হবে, এক দফা। এক দফা, এক দাবি হাসিনা তুই কখন যাবি। যদি পারেন কর্মীরা বলবেন, এখন যাবি। তার বাইরে কোনো পথ নাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘খুকুমনি, পরীমনি এটা-সেটা গল্প একটার পর একটা আইতাছে। এগুলো আমাদের জাতীয় জীবনের প্রয়োজনীয় বিষয়বস্তু না। আমাদের জাতীয় জীবনে বিষয়বস্তু হচ্ছে- স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ, জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আমার নাগরিক অধিকারগুলো নিশ্চিত করা। এজন্যই আমাদের লড়াই।’
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে গয়েশ্বর বলেন, ‘আন্দোলন আসছে। আমি যদি বলি কর্মীদের সাবধানে থাকিস তাহলে কি তারা আন্দোলন আসবে? বলতে হবে তোমরা এসো, আমিও থাকব। থানার ওসিকে বলে, ভাই আমি কিন্তু করি নাই, ওরা করছে, তার অপছন্দের যারা আছে তাদের কথা বলে।’
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের পাঁচটা ফেরেস্তা দিলে কী হবে, সরকারে যদি একটা শয়তান থাকে। সরকারের শয়তানটা জরুরি তাড়ানো। তারপরে নির্বাচন কমিশন যে হয় হোক। সেখানেও একটা নির্বাচন করার আমাদের সম্ভাবনা থাকবে। সেই কারণেই আজকে আমাদের লড়াইটা কিন্তু সেখানে করব। আজকে আমাদের কাছে অনেকে আসে-বলে, সংস্থা-টস্কার লোকজন কেউ কেউ কানে কানে বলতে চায় কী মানে এই দুই বছরের মধ্যে অর্থাৎ নির্বাচনের আগে আপনাদের সবকে অকেজো করে দেবে। কী অকেজো করব? জেল দেবে, জুলুম করবে যাতে নির্বাচন করতে না পারেন। আমি তাদেরকে বলব, শেখ হাসিনাকে জিজ্ঞাসা করেন বিএনপির থেকে কে কে নির্বাচন করতে পারব না তালিকা পাঠাতে বলেন-তারা নির্বাচন করবে না।’
শাহ আবদুল্লাহ আল বাকীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেতা হারুনুর রশীদ, নিলোফার চৌধুরী মনি, খান রবিউল ইসলাম রবি, অ্যালবার্ট পি কস্টা প্রমুখ।