বেশকিছু মার্কিন পণ্যের ওপর অতিরিক্ত আমদানি শুল্ক স্থগিত করেছে চীন। ১৫ ডিসেম্বর থেকে এসব শুল্ক বাস্তবায়নের কথা ছিল। চীনের রাষ্ট্রীয় কাউন্সিলের কাস্টমস ট্যারিফ কমিশন এ তথ্য জানিয়েছে। শুক্রবার বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতি দু’টির ‘ফেজ ওয়ান’ বাণিজ্য চুক্তিতে সম্মত হওয়ার পর অতিরিক্ত শুল্কারোপ বাতিল করা হলো।
কয়েক মাস ধরেই বৈশ্বিক বাজারগুলোয় চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে প্রথম পর্যায়ের বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। অক্টোবরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দুই পক্ষের চুক্তি স্বাক্ষরের ঘোষণা দিয়েছিলেন। শুক্রবারের ঘোষণার পর অনেকটাই স্বস্তি দেখা গেছে বাজারে।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, শুল্ক থেকে ছাড় পেতে চীন মার্কিন কৃষিপণ্যসহ অন্যান্য পণ্য আমদানি বাড়াতে সম্মত হওয়ার বিনিময়ে চুক্তিতে বেশকিছু মার্কিন শুল্কারোপ হ্রাস করা হয়েছে। মার্কিন শুল্কারোপের পাল্টা হিসেবে ১৫ ডিসেম্বর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেশকিছু পণ্যে অতিরিক্ত শুল্কারোপ কার্যকরের কথা ছিল। এ দফায় অতিরিক্ত শুল্কারোপের আওতায় শস্য ও গম থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত গাড়ি ও গাড়ির যন্ত্রাংশ ছিল।
চীনের অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সরকারি মন্ত্রণালয়গুলোর ওয়েবসাইটে কমিশনের জারিকৃত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কিছু পণ্যের অতিরিক্ত শুল্কারোপ বাতিল করা হলেও এরই মধ্যে মার্কিন পণ্যের ওপর যে শুল্ক আরোপ কার্যকর রয়েছে তা বহাল থাকবে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, একে-অপরের প্রধান উদ্বেগ সঠিকভাবে নিরসন এবং যুক্তরাষ্ট্র-চীনের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের স্থিতিশীল বিকাশ তুলে ধরতে সমতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে চীন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কাজ করে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছে।
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বাণিজ্য আলোচক জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে যতটুকু কিনেছিল তার তুলনায় বেইজিং আগামী দুই বছর অন্তত অতিরিক্ত ২০ হাজার কোটি ডলার সমমূল্যের মার্কিন পণ্য ও সেবা কিনতে সম্মত হয়েছে।
একই দিনে ইউনাইটেড স্টেটস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভের (ইউএসটিআর) পক্ষ থেকে জারিকৃত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২৫ হাজার কোটি ডলার সমমূল্যের চীনা পণ্যের ওপর আরোপিত ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক বহাল রাখবে যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতির মধ্যে ২০ মাস ধরে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধে এ পরিমাণ শুল্কারোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া ১১ হাজার কোটি ডলার সমমূল্যের চীনা পণ্যে ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা আছে। রয়টার্স।