কুড়িগ্রামের তাপমাত্রা এক অঙ্কে নেমে এসেছে। বৃহস্পতিবার ভোরে তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানায়, বৃহস্পতিবার ভোর থেকে জেলা জুড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে। ঘন কুয়াশা আর মেঘে আচ্ছন্ন জেলায় সূর্যের দেখা মিলছে না।
তবে দুই-তিনদিনের মধ্যে বড় ধরনের একটি শৈত্যপ্রবাহ হতে পারে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস। আবার হালকা বৃষ্টিপাতও হতে পারে।
সরেজমিনে দেখা যায়, কুয়াশার চাদরে ঢেকে আছে গোটা জনপদ। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মিলছে না। দুপুরের পর থেকে পুরো জনপদে তাপমাত্রা কমতে থাকে। ঘন কুয়াশায় সারারাত ও সকাল পেরিয়ে দুপুর পর্যন্ত শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরাই আক্রান্ত হচ্ছে শীতজনিত নানা রোগে।
এদিকে জেলার চরাঞ্চলসহ নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষগুলো ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে। অনেকে শীতের প্রকোপে আগুন জ্বালিয়ে ঠান্ডা নিবারণের চেষ্টা করছেন। দূরপাল্লার গাড়িগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে রাস্তায় চলাচল করতে দেখা যায়। নদ-নদীর অববাহিকায় দিনের বেলা ঠান্ডা কিছুটা কম থাকলেও রাত ও সকাল বেলা শীতের তীব্রতা বেশি অনুভুত হচ্ছে।
জেলার খেটে খাওয়া মানুষগুলো কাজে যেতে না পারায় পড়েছে চরম বিপাকে। তারা শীতে কষ্ট লাঘবে শীতবস্ত্রসহ গরম কাপড় সহায়তার দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন জানান, শীতে কোনো মানুষের যাতে কষ্ট না হয় সেদিকে আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে।