অবশেষে খুললো যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত। করোনাভাইরাস মহামারিতে বন্ধ ঘোষণা করার ২০ মাস পর টিকার ডোজ পূর্ণকারী পর্যটকদের জন্য নিজেদের দ্বার উন্মুক্ত করলো দেশটি। আজ সোমবার থেকে পর্যটকরা স্থল এবং আকাশপথে পুনরায় প্রবেশ করতে পারবেন দেশটিতে।
গত বছরের শুরুর দিকে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প করোনাভাইরাস মহামারির বিস্তার রোধে মার্কিন সব সীমান্ত বন্ধ করে দেন। তার উত্তরসূরী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পরও সেই সিদ্ধান্ত পুনর্বহাল রাখা হয়। মহামারিতে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত বহাল রাখায় সমালোচনার মুখে পড়েন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
সে সময় দেশটির সীমান্ত বন্ধের এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সব দেশ, ব্রিটেন, চীন, ভারত এবং ব্রাজিলও। মেক্সিকো, কানাডার স্থলপথের দর্শনার্থীদের জন্যও সীমান্ত বন্ধ করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার বিশ্বের ৩০টিরও বেশি দেশের জন্য প্রযোজ্য হবে বলে জানা গেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ সম্পূর্ণ অনিয়ন্ত্রিত থাকবে, এমনটা ভাবার কোনো সুযোগ থাকছে না। মার্কিন কর্তৃপক্ষ ভ্রমণকারীদের টিকা নেওয়ার প্রমাণ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করার পরিকল্পনা করেছে। এছাড়া এখনও দেশটিতে পৌঁছানোর পর ভ্রমণকারীদের কোভিড-১৯ নেগেটিভ পরীক্ষার সনদ দেখাতে হবে।
আজ সোমবার থেকে যেসব নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রগামী বিমান যাতায়াত করবেন, তাদের টিকার সম্পূর্ণ ডোজ নেওয়া থাকতে হবে এবং ভ্রমণের আগের তিন দিনের মধ্যে তাদের করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। সেইসঙ্গে দেশটিতে যাত্রীসেবা পরিচালনাকারী সব এয়ারলাইন্সকে একটি কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং সিস্টেম স্থাপন করতে হবে।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের আকাশপথ টিকার ডোজ পূর্ণকারীদের জন্য পুরোপুরি খুলে গেলেও সড়কপথ খুলবে দুই ধাপে। আজ সোমবার থেকে শুরু হওয়া অপ্রয়োজনীয় যেমন, পারিবারিক বা পর্যটন ভ্রমণের জন্যও ভ্যাকসিন নেওয়া থাকতে হবে। তবে জরুরি প্রয়োজনে টিকা না নেওয়া পর্যটকরাও দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি পাবেন, যা গত দেড় বছর ধরে চালু ছিল।
এছাড়া দ্বিতীয় ধাপে আগামী বছরের জানুয়ারির শুরুর দিক থেকে সড়কপথে দেশটিতে প্রবেশের জন্য সব পর্যটকের টিকার পূর্ণাঙ্গ ডোজ নেওয়া থাকতে হবে। ভ্রমণের উদ্দেশ্য যাই হোক না কেন এই সিদ্ধান্ত স্থলপথের সব পর্যটকের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে।
উল্লেখ্য, মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) অনুমোদন পাওয়া সব ভ্যাকসিন নেওয়া যাত্রীরাই আকাশপথে দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি পাবেন।