যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন আবারো স্থগিত হয়েছে। চলতি বছরে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের নানা অনিয়মের কথা উল্লেখ করে সোসাইটির সদস্য নীরা রব্বানির দায়ের করা মামলায় নিউইয়র্কের কুইন্স কাউন্টির সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার (১২ নভেম্বর) এ আদেশ দেন বলে সোসাইটির একটি সূত্র জানিয়েছে।
১৪ নভেম্বর রোববার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। এর আগে প্রবাসী ওসমান চৌধুরী নির্বাচন স্থগিত সংক্রান্ত মামলা দায়ের করতে ব্যর্থ হন। গত শুক্রবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে নির্বাচন স্থগিত সংক্রান্ত মামলা দায়ের করার কথা উল্লেখ করে ১০ নভেম্বর বুধবার বাংলাদেশ সোসাইটিসহ ৯ জনের নামে নোটিশ জারি করেন ওসমান চৌধুরী।
সূত্রটি সাংবাদিকদের জানায়, ২০১৮ সালে সোসাইটির সদস্যভুক্তি হন নীরা রব্বানি নামের জনৈক প্রবাসী নারী। তিনি চলতি বছরে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের নানা অনিয়মের কথা উল্লেখ করে নির্বাচন স্থগিত করতে নিউইয়র্কের কুইন্স কাউন্টির সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন করেন। তার এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার (১২ নভেম্বর) আদালত এ আদেশ দেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশ সোসাইটির নির্দিষ্ট আইনজীবী মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেননি।
এদিকে ওসমান চৌধুরী জানান, আদালতের নিয়মানুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যথাসময়ে অনলাইনে জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। ফলে তিনি তার সিদ্ধান্ত মোতাবেক শুক্রবার নির্বাচন স্থগিত সংক্রান্ত মামলা দায়ের করতে পারেননি। আদালতে সহযোগিতা করার জন্য তিনি একজনকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনিও অনলাইনে কাগজপত্র জমা দেওয়ার অনেক চেষ্টা করেছেন। কিন্তু আদালতের ওয়েবসাইটে গিয়ে যার ইনডেস্ক নম্বর ৭৮৫০/২০১৮-এর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে ব্যর্থ হন। তবে তিনি আশা করছেন যে নির্বাচনের পর নির্বাচিত কমিটি ও নির্বাচন কমিশনারদের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের করবেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সোসাইটির নির্দিষ্ট আইনজীবী মোহাম্মদ আব্দুল আজিজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, শুক্রবার (১২ নভেম্বর) জ্যামাইকার কুইন্স কাউন্টির সুপ্রিম কোর্টে দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে তিনি সশরীরে উপস্থিত ছিলেন। মামলার বাদী ওসমান চৌধুরী তার যথাসময়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে আদালতে উপস্থিত হয়েছিলেন কিন্তু আদালত তার কাগজপত্রের মুদ্রিত সংস্করণ (হার্ড কপি) গ্রহণ করেননি। করোনা মহামারির পর থেকে সব ধরনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বা নথিপত্র আদালতের ওয়েবসাইটে গিয়ে জমা দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু তিনি সে নিয়মে নথিপত্র দাখিল করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
উল্লেখ্য, ওসমান চৌধুরী ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিতে না পারার কারণে তার অধিকার ফিরে পেতে এবং তাকে বঞ্চিত করা হয়েছে- এমন অভিযোগ এনে বাংলাদেশ সোসাইটির নির্বাচন স্থগিতের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছিলেন কিন্তু বিজ্ঞ বিচারক তা আমলে নেয়নি। তিনি আগের মামলাটিকে পুনরুজ্জীবিত করেছেন; যার ইনডেস্ক নম্বর ৭৮৫০/২০১৮।
নির্বাচন স্থগিত সংক্রান্ত মামলার এ বিষয়টি জানিয়ে গত ১০ নভেম্বর বুধবার তিনি বাংলাদেশ সোসাইটি, অ্যাটর্নি মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ, নির্বাচন কমিশন, সাবেক (প্রয়াত) সভাপতি কামাল আহমেদ এবং এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রব-রুহুল পরিষদের আব্দুর রব মিয়া, রুহুল আমীন সিদ্দিকী, নয়ন-আলী পরিষদের কাজী আশরাফ হোসেন (নয়ন), মোহাম্মদ আলীকে নোটিশ করেন।