ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। অথচ টি-টোয়েন্টিতে কখনোই শিরোপার স্বাদ গ্রহণ করা হয়নি ডেভিড ওয়ার্নার-অ্যারন ফিঞ্চদের। অবশেষে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে সেই অধরা শিরোপার স্বাদ পেলো অজিরা। ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টিতেও এখন নিজেদের জাত ছিনিয়ে দিলো ফিঞ্চের দল।
আজ রোববার রাতে দুবাইতে ৮ উইকেট হাতে রেখে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। কিউইদের দেওয়া ১৭৩ রানের লক্ষ্য এক ওভার এক বল হাতে রেখে পেরিয়ে যায় তারা। ব্যাট হাতে ৫০ বলে ছয় চার ও চার ছক্কায় ৭৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন মিচেল মার্শ। এ ছাড়াও ৩৮ বলে চারটি বাউন্ডারি ও তিনটি ছক্কায় ৫৩ রান করেন ডেভিড ওয়ার্নার।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি অস্ট্রেলিয়ার। ইনিংসের তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চকে সাজঘরে ফেরান ট্রেন্ট বোল্ট। মাত্র ৫ রান করে ফেরেন তিনি। তিনে আসা মিচেল মার্শ শুরু থেকেই চার ছক্কা হাঁকাতে থাকেন। একপাশে ওয়ার্নার অন্যপাশে মার্শ দ্রুততার সঙ্গে রান তুলতে থাকেন। তাদের ৯২ রানের জুটি ভাঙেন বোল্ট। ৫৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন ওয়ার্নার।
তৃতীয় উইকেটের জুটিতে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে নিয়ে সহজে জয়ের পথ সুগম করে নেন মার্শ। ১৯তম ওভারের পঞ্চম বলেই চার মেরে জয় নিশ্চিত করেন ১৮ বলে ২৮ রানে অপরাচিক থাকা ম্যাক্সওয়েল।
এর আগে, টসে হেরে ব্যাট করতে এসে ২৮ রানের মাথায় ওপেনার ড্যারি মিচেলকে সাজঘরে ফেরান জস হ্যাজলউড। ৮ বলে এক ছক্কায় ১১ রান করে ম্যাথু ওয়েডের তালুবন্দি হন তিনি। তিনে আসা কেন উইলিয়ামসনের সঙ্গে ধীর গতির ব্যাট করেন আরেক ওপেনার মার্টিন গাপটিল। প্রথম ১০ ওভারে এক উইকেট হারিয়ে মাত্র ৫৭ রান তোলে কিউইরা।
১১তম ওভারে এসে জীবন পান উইলিয়ামসন। মিচেল স্টার্কের করা চতুর্থ বলে ফু্লটস পেয়ে ফাইনলেগের দিকে ছক্কা মারতে চেষ্টা করেন কিউই অধিনায়ক। কিন্তু সেখানে থাকা হ্যাজলউডের হাত ফসকে বলটি চার হয়ে যায়। ওই ওভারে টানা তিন চারে ১৭ রান তোলেন তিনি। জীবন পেয়ে ৩২ বলে ঝড়ো অর্ধশতক করেন কিউই ব্যাটার। যদিও তার অর্ধশতকের আগেই ওপেনার গাপটিলকে সাজঘরে ফেরান অ্যাডাম জাম্পা। ৩৫ বলে মাত্র ২৮ রান করেন তিনি।
তৃতীয় উইকেটের জুটিতে ক্রিজে আসা নতুন ব্যাটসম্যান গ্লেন ফিলিপসকে সঙ্গে নিয়ে ঝড়ো ব্যাট চালান উইলিয়ামসন। এক পাশে ফিলিপস ধীর গতিতে এগোলেও অন্যপাশে একের পর এক চার ছক্কা হাঁকান তিনি। তাদের ৭৮ রানের বিশাল জুটি ভাঙন হ্যাজলউড। ১৭ বলে ১৮ রান করে ফেরেন ফিলিপস। একই ওভারের পঞ্চম বলে স্টিভেন স্মিথের ক্যাচে উইলিয়ামসনকে ফেরান এই পেসার। ১০ চার ও তিন ছয়ে ৪৮ বলে ৮৫ রান করেন তিনি।