মিচেল মার্শ, নামটা শুনলেই এখন নিউজিল্যান্ডের মানুষদের মনে ক্ষত সৃষ্টি হবে। কেননা এই ক্রিকেটারের কাছেই হেরে আরও একটি বিশ্বকাপের শিরোপা হাতছাড়া হয়েছে কিউইদের। এর আগেরবার ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে নামটি ছিল ইংলিশ অলরাউন্ডার বেন স্টোকসের। এক একটি বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের মানুষের স্বপ্ন কেড়ে নিয়েছে এক একজন। এবারের বিশ্বকাপে মার্শ। তবে বিশ্বজয়ী এই মার্শ কী এখন নিজ দেশ অস্ট্রেলিয়ার মানুষের কাছে অপ্রিয় থেকে প্রিয় হতে পারবে?
২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ানদের সমালোচনার তিরে বিদ্ধ হয়েছিলেন মার্শ। সেবার অ্যাশেজ সিরিজের সময় এক সংবাদ সম্মেলনে কথা উঠেছিল মার্শের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ নিয়ে। শুধু সংবাদমাধ্যমেই নয়, দেশটির ক্রিকেট অনুসারীদের কাছেও তিনি তখন ‘খলনায়ক’। সেদিন মার্শ হেসে বলেছিলেন, ‘আমি জানি, অস্ট্রেলিয়ার বেশিরভাগ মানুষ আমাকে পছন্দ করে না। আশা করি, একদিন আমি তাদের মন জয় করে নেবো।’
ঠিক তার দুই বছর পর নিজের দেওয়া সেই কথা রাখলেন মার্শ। শুধু যে রেখেছেন তা কিন্তু নয়, প্রথমবার অস্ট্রেলিয়াকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপার স্বাদ দিয়েছেন তিনি। আর এরই মধ্য দিয়ে ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টিতেও নিজেদের অবস্থান কতটা শক্তিশালী তার জানান দিয়েছে অজিরা। ফাইনাল জুড়ে ব্যাট হাতে চার ছক্কায় ইতিহাসের অংশ হয়ে গেলেন মার্শ।
গতকাল রোববার রাতে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ১৭৩ রান মোকাবিলায় শুরুতে যখন অ্যারন ফিঞ্চ বিদায় নেন তখনই ক্রিজে আসেন মার্শ। এরপর পুরোটা সময় ক্রিজে থেকে এক নতুন কাব্য রচনা করলেন তিনি। ব্যাট হাতে তার অপরাজিত ৫০ বলের ৭৭ রানের ইনিংস অস্ট্রেলিয়াকে জিতিয়েছে বিশ্বকাপ। প্লেয়ার অব দ্য ফাইনাল হয়েছে মার্শ।
অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে বিখ্যাত পরিবারের সন্তান হয়ে বংশের নাম উজ্জ্বল করে রাখলেন মিচেল মার্শ। জেফ মার্শের ছেলে তিনি। তার বাবা জেফ মার্শ খেলোয়াড় হিসেবে জিতেছেন ১৯৮৭ বিশ্বকাপ আর কোচ হিসেবে ১৯৯৯ বিশ্বকাপ। সেই পরিবারের সন্তান হয়ে তিনিও জেতালেন প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।