করোনার নতুন ধরণ ‘ওমিক্রন’ নিয়ে উদ্বেগের জেরে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ফের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) এই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়।
নিউইয়র্কের গভর্নরের আদেশে বলা হয়, দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হওয়ার ফলে আগামী ৩ ডিসেম্বর থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত তা কার্যকর থাকবে।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টকে নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোচুল বলেছেন, এখনো করোনার উদ্বেগজনক ধরণ ও মিক্রন নিউইয়র্কে শনাক্ত হয়নি। তবে স্বাস্থ্য বিভাগকে হাসপাতালের জরুরি প্রয়োজন নয় এমন এবং কম জরুরি কাজগুলো সীমিত করতে একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্বল্প সময়ের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলো সরবরাহ করার বিষয়ও থাকছে তাতে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত নতুন ধরনকে প্রাথমিকভাবে ওমিক্রন বি.১.১.৫২৯ নামে ডাকা হচ্ছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ধরনটিকে ‘উদ্বেগজনক’ বলে আখ্যায়িত করেছে। শুক্রবার ডব্লিউএইচও দক্ষিণ আফ্রিকা ও বসতোয়ানায় শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাসের এই নতুন ধরণ নিয়ে জরুরি বৈঠক ডাকে। বৈঠকে নতুন ধরনের নামকরণ করা হয়।
ডব্লিউএইচও এক বিবৃতিতে বলেছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বি.১.১.৫২৯ ধরনকে উদ্বেগজনক হিসেবে আখ্যায়িত করছে। এটার নতুন নাম দেওয়া হয়েছে ওমিক্রন। প্রাথমিকভাবে হাতে আসা তথ্য বলছে, এই ধরনটির মাধ্যমে করোনার সংক্রমণ নতুন করে বিস্তারের ঝুঁকি রয়েছে।
নতুন শনাক্ত হওয়া ধরনটি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। ধরণটির সংক্রমণের ক্ষমতা এবং শারীরিক জটিলতা সৃষ্টির ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন এনেছে কিনা তা এ সময়ের মধ্যে খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি করোনার প্রচলিত চিকিৎসা ও টিকার ওপর কোনো প্রভাব আসবে কিনা তাও জানার চেষ্টা করা হবে।
এদিকে এখন পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকা ছাড়াও বসতোয়ানা, ইসরায়েল ও হংকংয়ে করোনার নতুন ধরনটির সন্ধান মিলেছে। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে বেলজিয়ামে এখন পর্যন্ত একজনের শরীরে এ ধরনটি শনাক্ত হয়েছে।