দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে গতকাল শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে বহুল আলোচিত সিনেমা ‘মিশন এক্সট্রিম’। দেশের ৫০টি প্রেক্ষাগৃহে সগৌরবে চলছে সিনেমাটি। শুরুতে এর অভিনেতা আরিফিন শুভর কাছে জানতে চাওয়া হলো, কেমন লাগছে? উত্তরে এই অভিনেতা বলেন, ‘এখন অনুভূতিটা মিশ্র। আনন্দ ও খানিকটা ভয়ও লাগছে।’
ভয় লাগার কারণ কী? শুভর ভাষ্য, ‘এই সিনেমার জন্য পুরোটিম অনেক শ্রম দিয়েছে। ছবিটি নিয়ে আমাদের অনেক আশা-ভরসা। এর মধ্যে আবার করোনার একটা আতঙ্কও আছে,। তাই খানিকটা নার্ভাস লাগছে।’
করোনায় বন্ধ হয়েছে এমন ২০টির মতো হলও ‘মিশন এক্সট্রিম’র জন্য ফের চালু করেছেন মালিকরা। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন? উত্তরে শুভ বলেন, ‘নিঃসন্দেহে এটা আনন্দের সংবাদ। এখানেও কিছু দুঃখ আছে! কারণ আমাদের আগের ছবি “ঢাকা আ্যাটাক” এর চেয়ে অনেক বেশি হলে মুক্তি পেয়েছিল। যাই হোক, যেটুকু আছে সেটা নিয়েই সামনে এগিয়ে যেতে চাই। থেমে থাকতে চাই না।’
‘মিশন এক্সট্রিম’ নিয়ে আপনার প্রত্যাশা কেমন? শুভ বলেন, ‘আমার ক্যারিয়ারের সব থেকে শারীরিক এবং মানসিক কষ্টের কাজ হচ্ছে ‘মিশন এক্সট্রিম’। যেখানে একটা ছবি চাইলে এক মাসেও শেষ করা যায়। সেখানে আমরা এই ছবির জন্য দেড় বছর কাজ করেছি। ছবির জন্য অনেক কিছু বিসর্জন দিয়েছি। প্রত্যাশা এটুকুই, দর্শক যাতে হলে এসে ছবিটা দেখে।’
সঙ্গে যোগ করে তিনি আরও বলেন, ‘ছবির গল্পটা দেশপ্রেমের গল্প। আর আপনি যদি বাংলাদেশি হন তবে ‘মিশন এক্সট্রিম’ দেখবেন। ‘ঢাকা অ্যাটাক’র বেলাও বলেছি, এটা ভালো সিনেমা। এটি দেখে কেউ হতাশ হবেন না। আমরা দর্শকদের ঠকাইনি! দর্শক কিন্তু ঠিকই এর প্রশংসা করেছে এবং দলে দলে সিনেমা হলে এসে ছবিটি দেখেছে।’