আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৬৭ টেস্ট খেলা অভিজ্ঞ ফাস্ট বোলার পিটার সিডল। ৩৫ বছর বয়সী সিডল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে চলমান সিরিজে মেলবোর্নের দ্বিতীয় টেস্টের জন্য দলে ডাক পেয়েছিলেন; কিন্ত শেষ পর্যন্ত একাদশে সুযোগ না পাওয়ায় বিদায়ের সিদ্ধান্ত নেন।
রোববার মেলবোর্ন টেস্টের চতুর্থ দিন সকালে ড্রেসিং রুমে তিনি সতীর্থদের কাছে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার দলের হয়ে ব্যাগি গ্রীন ক্যাপ পড়াটা আমার কাছে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। অস্ট্রেলিয়াকে প্রতিনিধিত্ব করতে গিয়ে আমি রিকি পন্টিং, স্টিভ ওয়াহদের সান্নিধ্য পেয়েছি। যখনই আমি টেস্ট খেলতে নেমেছি তখনই আমার মধ্যে এক বিশেষ অনুভূতি কাজ করেছে। যে কারণে কোন একটি টেস্টকে আমি আলাদা করে রাখতে পারবো না। সব কিছুরই শেষ আছে, আমিও আমার ক্যারিয়ারকে বিদায় জানানোর এটাই সঠিক সময় হিসেবে মনে করছি। সত্যিকার অর্থেই পুরো যাত্রাটা ছিল দুর্দান্ত।’
চলতি বছরের শুরুতে ইংল্যান্ডের মাটিতে এ্যাশেজ সিরিজ পুনরুদ্ধারে সিডল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে অনবদ্য অবদান রাখার কারণে জাতীয় দলের কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার সিডলের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। ল্যাঙ্গার বলেন, ‘আমি অবসর নেবার বছরখানেক পরে ম্যাথু হেইডেন, রিকি পন্টিংদের সাথে সিডল দলে সুযোগ পান। সিনিয়রদের সংষ্পর্শে এসে সিডল কিভাবে তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারকে সমৃদ্ধ করেছে তা অনেকের কাছেই উদাহরণ হয়ে থাকবে। সত্যিকার অর্থেই সিডল দুর্দান্ত একজন ক্রিকেটার। একজন সতীর্থ হিসেবেও সে অসাধারণ। অস্ট্রেলিয়ান দলের জন্য সে সবকিছুই দিয়েছে।’
৬৭ টেস্টে সিডল আটবার পাঁচ উইকেট দখল করা ছাড়াও সর্বমোচ ২২১ উইকেট নিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীর তালিকায় তার অবস্থান ১৩তম।
২০১০ সালে ব্রিসবেনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২৬তম জন্মদিনে তার হ্যাটট্রিক করার কৃতিত্ব এখনো স্মরণীয় হয়ে আছে। ৬৭ টেস্ট ছাড়াও সিডল ২০টি ওয়ানডে ও দু’টি টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও ঘরোয়া পর্যায়ে খেলা চালিয়ে যাবেন সিডল। বিগ ব্যাশ লিগে এডিলেড স্ট্রাইকার্স ও শেফিল্ড শিল্ডে তিনি ভিক্টোরিয়ার হয়ে খেলে থাকেন।