শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:২৫ অপরাহ্ন

শ্বশুরবাড়ি সিলেটে প্রথম এলেন মঈন

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ১৩৮ বার

ক্রিকেটার মঈন আলী। ইংল্যান্ড টিমের অন্যতম অলরাউন্ডার। খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বজুড়েই তার খ্যাতি রয়েছে। সেই মঈন আলীকে নিয়ে এবার উচ্ছ্বাস সিলেটে। আর উচ্ছ্বাস হবেই না কেন; মঈন যে সিলেটি জামাই। অনেকেই জানতেন না সে খবর। এবার শ্বশুরবাড়ি সিলেটে পা রেখেই সে সংবাদ জানালেন মঈন আলী নিজেই। গণমাধ্যমের কাছে জানালেন; সিলেটেই তার শ্বশুরবাড়ি।

বাংলাদেশে এসেছেন অনেক। প্রায় ১৫ বছর ধরে এ দেশে ক্রিকেট খেলতে আসছেন। কিন্তু কখনোই আসা হয়নি সিলেটে। এবার খেলতে এলেন সিলেটের স্টেডিয়ামে। এ নিয়ে উচ্ছ্বাস, উত্তেজনার কমতি নেই তার পরিবারে। ঘরের মাঠে খেলা। তাতে খেলবেন ‘দামান্দ’ মঈন। পরিবার পরিজনও ছুটে এসেছে সিলেটে। খবরটি চাউর হওয়া মাত্র মঈন আলীর দিকে নজর সবার। সিলেট পর্বের খেলা শেষে একবার আসতে পারেন শ্বশুরবাড়িতে। স্ত্রী, সন্তান ও শ্যালকরা আসছেন। ফলে শ্বশুরবাড়িতে একবার ঢু-মারার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না কেউ। এ নিয়ে প্রস্তুতিও রয়েছে শ্বশুর পরিবারেও। নগরীর পীর মহল্লা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পাশাপাশি এলাকা। মাঠ থেকে আধা কিলোমিটার দূরের পথ। হেঁটেই যাওয়া যায় মাঠে। ওই এলাকায় মঈনের শ্বশুরবাড়ি। বিশ্ব ক্রিকেটে অলরাউন্ডার মঈন আলী একজন ভদ্র ক্রিকেটার। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এই ক্রিকেটারের জন্ম ও বেড়ে ওঠা যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামে। সিলেটি অধ্যুষিত এলাকা বার্মিংহাম। অনেক সিলেটিদের বাস সেখানে। মঈনের স্ত্রী ফিরোজা হোসেন। পিতা এম হোসেন। নগরের পীর মহল্লা এলাকায় তাদের বাড়ি। অনেক আগে থেকেই বৃটেনের বার্মিংহাম শহরে বসবাস এম হোসেনের। মেয়ে ফিরোজার জন্ম ও বেড়ে ওঠা সেখানেই। পারিবারিকভাবেই ক্রিকেটার মঈন আলীর সঙ্গে বিয়ে হয় ফিরোজার। এখন তাদের সংসারে আবুবকর নামের একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে। ক্রিকেটার মঈন আলী বাংলাদেশে এসেছেন অসংখ্যবার। খেলেছেন বিপিএলও। ঢাকা, চট্টগ্রামে খেলা হলেও সিলেটে আসা হয়নি কখনো। এবার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে খেলতে এসেছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার। গতকাল সিলেটের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দলের সঙ্গে অনুশীলন করেছেন মঈন আলী। পরে গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। সিলেটে এসে তিনি বেশ উচ্ছ্বসিত বলে জানান। সাংবাদিকদের জানান- এবার সবাইকে নিয়ে সিলেটে আসা হয়েছে। তার সঙ্গে সিলেটে পরিবারের স্ত্রী, সন্তান ও তার ভাই বোনেরা সবাই আসছে। বাংলাদেশও বাড়ি, পাকিস্তান-ইংল্যান্ড সবই আমার ঘর। সব আমার চোখে এক। মঈন জানান, সিলেটে আমার এবারই প্রথম। ওরা আমাকে সবসময় বলতো, ‘চলো সিলেটে যাই।’ কিন্তু সময় হয়ে ওঠেনি। এবার আসতে পেরে ভালো লাগছে। হতাশা যে বাইরে যেতে পারছি না। তবে এখানে এসে আমার ভালো লাগছে। আমার পরিবার এখানকার। খুবই খুশি। সিলেটের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলা রপ্ত করছেন মঈন আলী। স্ত্রীর কাছ থেকে শিখছেন। এই ভাষা শেখার আগ্রহও রয়েছে তার। জানালেন, কয়েকটি সিলেটি শব্দ জানি আমি, এই তো। সত্যি বলতে, আরও বেশি জানতে পারলে ভালো লাগতো। চেষ্টা করবো আরও শিখতে। এখন হোটেলের লোকেরা আমার সঙ্গে সিলেটি কথা বলছে। চেষ্টা করছি শিখতে। বিপিএল সিলেটের মিডিয়ার দায়িত্বে থাকা ফরহাদ কোরেশী জানিয়েছেন, মঈন আলী সিলেটে কুমিল্লার হয়ে খেলতে এসেছেন। তিনি টিমের সঙ্গেই রয়েছেন। এখন প্রতিটি দলই মহামারি করোনার কারণে সবাই বায়োবলে বন্দি। সুতরাং ইচ্ছে করলে কেউ পরিবারের সঙ্গে মিশতে পারবে না। কঠোর নিয়মের মধ্যেই ক্রিকেটারদের রাখা হয়েছে। তারা হোটেল, মাঠ সবখানেই নিয়মতান্ত্রিক ভাবে চলাফেরা করছেন। তবে- ভিন্ন সূত্রে মিলেছে ভিন্ন খবর। ক্রিকেটার মঈন আলী যেতে পারেন শ্বশুরবাড়িতে। ওখানে তার পরিবারের সদস্যরা উঠবেন। সিলেটে এসে শ্বশুরবাড়িতে তাকে বরণেরও প্রস্তুতি রয়েছে। এজন্য পরিবারের পক্ষ থেকে তার জন্য ‘দাওয়াত’ আগেই দিয়ে রাখা হয়েছে। খেলা চলাকালীন সময়ে মঈন জৈব বলয়ে বন্দি থাকলেও সিলেট পর্ব শেষে তিনি একবার ঢু-মারতে পারেন শ্বশুরবাড়িতে। সেটি হতে পারে একান্ত পারিবারিক ভাবেই।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com