ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত সাধারণ ওয়ার্ড এবং মহিলা সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছে দলটি। গতকাল মঙ্গলবার ভোর ৪টা ২২ মিনিটে গণমাধ্যমে এ তালিকা পাঠানো হয়। এতে দক্ষিণে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৬টি ও উত্তরে ২টি এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ওয়ার্ডে দক্ষিণে ২টিসহ মোট ১০টি পদ ফাঁকা রাখা হয়েছে।
সংরক্ষিত নারী দুটি ওয়ার্ড ফাঁকা থাকার কারণ হিসেবে জানা গেছে, ওই দুই ওয়ার্ডে কোনো প্রার্থী পায়নি বিএনপি। অন্যগুলোর একাধিক প্রার্থী থাকায় চূড়ান্ত করতে পারেনি দায়িত্বপ্রাপ্তরা। তবে ফাঁকা রাখা ওয়ার্ডে দলীয় প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছে। পরে এসব ওয়ার্ডে দল সমর্থিত প্রার্থীর নাম জানিয়ে দেওয়া হবে।
দক্ষিণ সিটির ৩৫, ৩৬ ও ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত সংরক্ষিত নারী-১২ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মহিলা দলের কোতোয়ালি ও বংশাল থানা মহিলা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মিতা রানী দত্তকে বিএনপি সমর্থন না দেওয়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। যদিও স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমানের নেতৃত্বে গঠিত এ সংক্রান্ত কমিটির ১০ জনের মধ্যে ৬ জন মিতার পক্ষে ভোট দেন। সংরক্ষিত এই ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থন দিয়েছে বাছাই কমিটির ৪ সদস্যের ভোট পাওয়া সুরাইয়া বেগম। এ বিষয়টি এ সংক্রান্ত বাছাই কমিটির একাধিক সদস্য দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের কাছে অবহিত করা হয়েছে।
দলের একটি সূত্র জানায়, জোটের শরিকদের কয়েক ওয়ার্ডে ছাড় দেওয়া হতে পারে। বিগত সময়ের কাউন্সিলর ছিলেন এমন অনেককেই এবার মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। দলীয়ভাবে একক প্রার্থী ঘোষণা দিলেও অনেক কাউন্সিলর প্রার্থীই বিদ্রোহী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। উত্তরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে দলীয় সমর্থন না পেলেও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন মহানগর উত্তর বিএনপির সহসাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন। তিনি বলেন, যাকে ওই ওয়ার্ডে মনোনয়ন দিয়েছেন, তিনি গত সিটি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। এত বছর তার খবর ছিল না। নির্বাচন এসেছে আবার তিনি সক্রিয় হচ্ছেন।
এদিকে উত্তরে কাউন্সিলর বাছাই কমিটি চূড়ান্ত ও তারেক রহমানের নেতৃত্বাধীন স্থায়ী কমিটির অনুমোদনের পরও সাধারণ কাউন্সিলর পদে উত্তরের ৫ ও ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়েছে। যথাক্রমে বুলবুল আহমেদ মল্লিক ও মাসুদ খান রাজেশকে বাছাই কমিটি ও স্থায়ী কমিটি প্রার্থী করা হলেও রাতে তা পরিবর্তন করে মল্লিকের স্থানে মামুন আহম্মেদ এবং রাজেশের পরিবর্তে আনোয়ার হোসেনকে সমর্থন দিয়েছে বিএনপি।
এ ছাড়া বিএনপির কাউন্সিলরদের মনোনয়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষরিত চূড়ান্ত মনোনয়নপ্রাপ্তদের নামের তালিকার সঙ্গে বিএনপির প্রকাশিত তালিকায় আরও চারটি হেরফের পাওয়া গেছে। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে মো. শাকিল মোল্লা, ২৯ নম্বর মো. এনায়েত হাফিজ, ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে আজহারুল ইসলাম সেলিমের পরিবর্তে অন্যদের নাম ঘোষণা করা হয়। ৫২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থীর ঘর ফাঁকা রাখা হয়েছে। দক্ষিণে প্রার্থী চূড়ান্ত করতে গিয়ে বাছাই কমিটিতেই কথাকাটাকাটি হয়। সেখানেও প্রার্থী চূড়ান্তকরণে নানা অভিযোগ উঠেছে।
এ সবের সঙ্গে আরও বেশকিছু ঘটনায় কাউন্সিলর মনোনয়ন নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে কিছুটা ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। উত্তর ও দক্ষিণের কয়েকটি কাউন্সিলর পদে যাদের সমর্থন দেওয়া হয়েছে, তারা আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে ছিলেন না। এলাকায়ও ততটা জনপ্রিয়তাও নেই। দলীয় সূত্র জানায়, প্রতিটি ওয়ার্ডে একক কাউন্সিলর প্রার্থী করে এ সংক্রান্ত তিনটি কমিটি তা অনুমোদনের জন্য দলের স্থায়ী কমিটিতে পাঠায়।
গত সোমবার রাতে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে তা অনুমোদন দেওয়া হয়। এর পরই তা গণমাধ্যমে পাঠানোর কথা ছিল। কিন্তু গুলশান কার্যালয়ে কয়েক ঘণ্টা রেখে তালিকা পাঠানো হয় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। সেখান থেকে ভোরে গণমাধ্যমে চূড়ান্ত তালিকা পাঠানো হয়েছে। স্থায়ী কমিটির বৈঠকে করা তালিকা কিছুটা ঘষামাজা করে গণমাধ্যমে পাঠানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে এ নিয়ে দলের কোনো নেতা কথা বলতে চাননি। তবে বাছাই কমিটির দুই নেতা ও স্থায়ী কমিটির দুই নেতার সঙ্গে কথা বলে এসব অনিয়ম বিষয়ে সত্যতা পাওয়া গেছে।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৭৫টি সাধারণ ওয়ার্ডের মধ্যে অন্তত ৪৫ প্রার্থী রয়েছেন, যারা এই প্রথম কাউন্সিলর পদে ভোট করছেন। সিটি করপোরেশন উত্তরেও ৫৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই নতুন প্রার্থী। প্রার্থীর তালিকায় ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল করা নেতারাও রয়েছেন।
উত্তরের ৫৪ সাধারণ ওয়ার্ডে যারা : ওয়ার্ড-১ মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, ২. সাজ্জাদ হোসেন, ৩. হাজী আবু তৈয়ব, ৪. সাইফুল ইসলাম, ৫. আনোয়ার হোসেন, ৬. মাহফুজ হোসেন খান সুমন, ৭. দেলোয়ার হোসেন দুলু, ৮. ফেরদৌস আহমেদ মিষ্টি, ৯. সাইদুল ইসলাম, ১০. মাসুদ খান, ১১. শামীম পারভেজ, ১২. শহীদুর রহমান এনা, ১৩. আনোয়ার শাহাদাৎ খান রনি, ১৪. আক্তার হোসেন জিল্লু, ১৫. লিয়াকত আলী, ১৬. হাবিবুর রহমান, ১৭. শাহীনুল আলম, ১৮. শরীফ উদ্দিন, ১৯. ফারুক হোসেন ভূঁইয়া, ২০. মিজানুর রহমান বাচ্চু, ২১. এজিএম শামসুল হক, ২২. ফয়েজ আহমেদ ফরু, ২৩. হেলাল কবির, ২৪. হুমায়ুন কবির আহম্মেদ, ২৫. সাইফুল ইসলাম কাজল, ২৬. আজিজুর রহমান মুছাব্বির, ২৭. আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, ২৮. আফতাব উদ্দিন জসিম, ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে ঘোষণা করা হয়নি, ৩০. হাজী নাসির উদ্দিন, ৩১. সাজেদুল হক খান রনি, ৩২. আতিকুল ইসলাম মতিন, ৩৩. এমএস আহমেদ আলী, ৩৪. ওসমান গণি শাহজাহান, ৩৫. শেখ আমির হোসেন, ৩৬. সাজেদা আলী হোসেন, ৩৭. এমএ বাশার, ৩৮. জাহাঙ্গীর মোল্লা, ৩৯. দেলোয়ার হোসেন, ৪০ নম্বর ঘোষণা করা হয়নি। ওয়ার্ড-৪১ নবী হোসেন, ৪২. তহিরুল ইসলাম তুহিন, ৪৩. আক্তার হোসেন, ৪৪. আনোয়ার হোসেন আইনাল, ৪৫. জাহাঙ্গীর আলম, ৪৬. আতিকুর রহমান, ৪৭. মোতালেব হোসেন রতন, ৪৮. আলী আকবর আলী, ৪৯. শাহাবুদ্দিন, ৫০. দেওয়ান নাজিম উদ্দিন, ৫১. আফাজ উদ্দিন, ৫২ আলমাস আলী, ৫৩. মোস্তফা জামান ও ওয়ার্ড নম্বর ৫৪ ঘোষণা করা হয়নি।
উত্তরের সংরক্ষিত মহিলা
রাবেয়া আলম (১, ১৭ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ড), আমেনা খাতুন (৪, ১৫ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ড), মেহেরুন্নেছা হক (২, ৩ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড), সৈয়দা মিলি জাকারিয়া (৬, ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড), নাজমা কবির (৯, ১০ ও ১১ নম্বর ওয়ার্ড), নাসরিন মিতু (১২, ১৩ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ড), পেয়ারা মোস্তফা (১৯, ২০ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ড), নীলুফার ইয়াসমিন (২২, ২৩ ও ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড), রীনা বাসার (২৪, ২৫ নম্বর ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড), রোকেয়া সুলতানা তামান্না (২৬, ২৭ ও ২৮ নম্বর ওয়ার্ড), খন্দকার ফারহানা (২৯, ৩০ ও ৩২ নম্বর ওয়ার্ড), রুনা লায়লা (৩১, ৩৪ ও ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড), আয়েশা আক্তার (৩৮, ৩৯ ও ৪০ নম্বর ওয়ার্ড), সালেহা ইসলাম (৩৭, ৪১ ও ৪২ নম্বর ওয়ার্ড), আইরিন সুলতানা লাকি (৪৩, ৪৪ ও ৪৫ নম্বর ওয়ার্ড), ইলোরা পারভীন (৪৬, ৪৭ ও ৪৮ নম্বর ওয়ার্ড), লুৎফা খানম চৌধুরী (৪৯, ৫০ ও ৫১ নম্বর ওয়ার্ড), সোহেলী পারভীন শিখা (৫২, ৫৩ ও ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড)।
দক্ষিণ সিটির ৭৫ : ওয়ার্ড-১ ঘোষণা করা হয়নি। ওয়ার্ড নম্বর ২ মাসুদ চৌধুরী, ৩. আবুল হোসেন, ৪. গোলাম হোসেন, ৫. মনোয়ার হোসেন মানু, ৬. শামসুল হুদা, ৭. সামসুল হুদা (কাজল), ৮. আলমগীর হোসেন। ওয়ার্ড নম্বর ৯ ঘোষণা করা হয়নি। ওয়ার্ড নম্বর ১০ হারুন অর রশীদ, ১১. মির্জা আসলাম আসিফ, ১২. ফজলে রুবাইয়াত (পাপ্পু), ১৩. আব্বাস উদ্দিন সরকার, ১৪. আব্দুল আজিজ, ১৫. শফিক উদ্দিন ভূঁইয়া, ১৬. সিরাজুল ইসলাম, ১৭. আলাউদ্দিন আহমেদ, ১৮. জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারী, ওয়ার্ড নম্বর ১৯ ও ২০ ঘোষণা করা হয়নি। ওয়ার্ড নম্বর ২১ খাজা হাবিবুল্লাহ হাবিব, ২২. আনিসুর রহমান (শিপলু), ২৩. আমিনুল ইসলাম, ২৪. মোশারফ হোসেন (খোকন), ২৫. হাজী আলতাফ হোসেন, ২৬. মীর আশরাফ আলী আজম, ২৭. শাহিদা মোরশেদ, ২৮. আনোয়ার পারভেজ বাদল, ২৯. শহিদুল ইসলাম বাবুল, ৩০. হুমায়ুন কবির, ৩১. হাজী এমএ কাইয়ুম, ৩২. তাজউদ্দিন আহমেদ।
ওয়ার্ড নম্বর ৩৩ ঘোষণা করা হয়নি। ওয়ার্ড নম্বর ৩৪ মামুন আহম্মেদ, ৩৫. ইয়াকুব সরকার, ৩৬. আবু তাহের, ৩৭. ফরহাদ রানা, ৩৮. মেহেরুন নেছা, ৩৯. সাব্বির আহমেদ আরেফ, ৪০. মকবুল ইসলাম খান টিপু, ৪১. লিয়াকত আলী, ৪২. মোসলেমুর রহমান (মকলেস), ৪৩. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়েজ, ৪৪. আব্দুস সাহেদ মন্টু, ৪৫. আ. কাদির, ৪৬. ফারুক, ৪৭. কাজী মাহাবুব মাওলা হিমেল, ৪৮. আব্দুল কাদের, ৪৯. বাদল সরদার, ৫০. ওয়াহিদুজ্জামান। ওয়ার্ড নম্বর ৫১ ঘোষণা করা হয়নি। ওয়ার্ড নম্বর ৫২ রবিউল ইসলাম দীপু, ৫৩. মীর হোসেন মিরু, ৫৪. মোজাম্মেল হোসেন, ৫৫. মো. সামির, ৫৬. মো. নাঈম, ৫৭. সাইফুল ইসলাম, ৫৮. সেলিম রেজা, ৫৯. আসলাম মোল্লা, ৬০. ইউসুফ আলী ভূঁইয়া, ৬১. জুম্মন মিয়া, ৬২. সৈয়দ আহমেদ, ৬৩. সোহেল আহমেদ, ৬৪. আহসান উল্লাহ, ৬৫. সানাউল্লাহ মিয়া, ৬৬. আকবর হোসেন ভূঁইয়া নান্টু, ৬৭. এসএম রেজা চৌধুরী সেলিম, ৬৮. আনিসুজ্জামান, ৬৯. শামীম আহমেদ, ৭০. এমএ আজিম, ৭১. খোরশেদ আলম, ৭২. জিয়াউল হক রতন, ৭৩. এইচএম সোহরাওয়ার্দী, ৭৪. আব্দুল হান্নান খান, ৭৫. আকবর হোসেন।
দক্ষিণের সংরক্ষিত মহিলা : হোসনে আরা লিজা (২, ৩ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ড), হোসনে আরা চৌধুরী (৫, ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড), রুমা আক্তার (৮, ৯ ও ১০ নম্বর ওয়ার্ড), মাজেদা বেগম (১, ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ড), বিলকিস আক্তার (১৩, ১৯ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ড), রাফিকা আফরোজ (১৬, ১৭ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ড), সাজেদা বেগম (১৪, ১৫ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ড)। ঘোষণা করা হয়নি (২২, ২৩ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ড)। ফারিয়া ফারুক মুক্তা (২৪, ২৫ ও ২৯ নম্বর ওয়ার্ড), শামসুন নাহার ভূঁইয়া (২৭, ২৮ ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ড), নাসরীন রশিদ পুতুল (৩১, ৩২ ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড), সুরাইয়া বেগম (৩৫, ৩৬ ও ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড), রেহানা ইয়াসমিন ডলি (৩৪, ৩৮ নম্বর ৪১ নম্বর ওয়ার্ড), ফরিদা ইয়াসমিন (৩৯, ৪০ নম্বর ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড), শাহনাজ আক্তার মিতু (৪৮, ৫০ ও ৫১ নম্বর ওয়ার্ড), মনি বেগম (৪২, ৪৩ ও ৪৪ নম্বর ওয়ার্ড), হাসিনা বেগম (৪৫, ৪৬ ও ৪৭ নম্বর ওয়ার্ড), খালেদা আলম (৫২, ৫৩ ও ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড), সেতারা বেগম (৫৫, ৫৬ ও ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড), (৭৩, ৭৪ ও ৭৫ নম্বর ওয়ার্ড ঘোষণা করা হয়নি), কাজী রায়দা সুলতানা (৭০, ৭১ ও ৭২ নম্বর ওয়ার্ড), পলি আক্তার (৬৭, ৬৮ ও ৬৯ নম্বর ওয়ার্ড), রিনা ইয়াসমিন (৬৪, ৬৫ ও ৬৬ নম্বর ওয়ার্ড), সালেহা আক্তার (৬১, ৬২ ও ৬৩ নম্বর ওয়ার্ড), চায়না আক্তার (৫৮, ৫৯ ও ৬০ নম্বর ওয়ার্ড)।