পরিশুদ্ধ অন্তর মানুষের সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত, যে অন্তরে কুফর, শিরক, কপটতা ও বিদআতের আবর্জনা থাকবে না। যে অন্তরে অহমিকা, হিংসা-বিদ্বেষ ও মিথ্যার অন্ধকার থাকবে না। মহান আল্লাহর কাছে মানুষের সেই অন্তরটিই প্রিয়। যাদের অন্তর পরিশুদ্ধ হয়, তাদের আমলও বিশুদ্ধ ইখলাসে পরিপূর্ণ হয়।
আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের বাহ্যিক চাল-চলন ও বিত্ত-বৈভবের প্রতি দৃষ্টিপাত করেন না; বরং তিনি দৃষ্টি দিয়ে থাকেন তোমাদের অন্তর ও আমলের প্রতি। ’ (মুসলিম : ৬৪৩৭)
কঠিন কিয়ামতের দিন মানুষের ধন-সম্পদ, সন্তান-সন্ততি কোনো উপকারে আসবে না। সেদিন যে জিনিসকে মহান আল্লাহ মূল্যায়ন করবেন, তা হলো পরিশুদ্ধ অন্তর। যাদের কাছে তা থাকবে তারাই আল্লাহর রহমত পাবে, জাহান্নামের শাস্তি থেকে মুক্তি পাবে। কারণ পরিশুদ্ধ অন্তর ছাড়া জান্নাতে প্রবেশ করা সম্ভব নয়। তাই মহান আল্লাহ তাঁর বান্দার অন্তরকে পরিপূর্ণ কলুষমুক্ত করে তাদের জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি তাদের অন্তর থেকে বিদ্বেষ দূর করব; তারা ভ্রাতৃভাবে পরস্পর মুখোমুখি হয়ে আসনে অবস্থান করবে। ’ (সুরা হিজর, আয়াত : ৪৭) এর বিপরীতে যাদের অন্তর অপরিশুদ্ধ, তাদের ব্যাপারে ইরশাদ হয়েছে, ‘তাদের অন্তরে আছে ব্যাধি। অতঃপর আল্লাহ তাদের ব্যাধি আরো বাড়িয়ে দিয়েছেন। আর তাদের জন্য আছে কষ্টদায়ক শাস্তি। কারণ তারা মিথ্যাবাদী। ’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ১০)
মহান আল্লাহ সবাইকে অন্তরের শুদ্ধতা অর্জনের তাওফিক দান করুন।