বাংলাদেশের স্বাধীনতার লক্ষ্যে ছাত্রলীগের ভেতর যে নিউক্লিয়াস কাজ করছিলো ১৯৬২ সাল থেকে সেই নিউক্লিয়াসের কেন্দ্রে ছিলেন সিরাজুল আলম খান। এই নিউক্লিয়াস-এর বরিশাল জেলার দায়িত্বে ছিলেন জেড আই খান পান্না। সে সময় বরিশাল জেলাই এখন ছয় জেলা বিশিষ্ট বরিশাল বিভাগ। আওয়ামী লীগ শাসনামলের শেষ দিকে জেড আই খান পান্না জাসদের সমাজতান্ত্রিক ধারায় যুক্ত হন। এক পর্যায়ে আবদুর বারেক হন বরিশালের জাসদের প্রধান নেতা এবং জেড আই খান পান্না প্রধান তাত্ত্বিক।
জেড আই খান পান্নার রাজনীতিতে পথ চলা শুরু হয় ক্লাস সিক্স-এর ছাত্র থাকাকালে মিছিলে যোগদানের মধ্য দিয়ে। এ সময় সমাবেশ শুরুর দিকে তাকে দিয়ে বক্তৃতা দেওয়ানো হতো। তার কণ্ঠ ছিলো অনেকটা মেয়েদের মতো। ফলে সহজেই দর্শক-শ্রোতা জড়ো হতো। স্বাধীন বাংলাদেশে তিনি আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে জাসদে সম্পৃক্ত হন। একপর্যায়ে তিনি হয়ে ওঠেন বরিশাল জাসদ-এর তাত্ত্বিক। এর আগে ৬৬ সালে ৬ দফা আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী, মিছিলে ও সমাবেশে অংশ নেওযার মধ্য দিয়ে তিনি বরিশালে পরিচিত মুখে পরিণত হন।
ছয় দফার আন্দোলন দানা বাঁধলে সমান গতিতে মারমুখী হয় পাকিস্তানের সামরিক জান্তা। সে সময় বরিশালের রাজপথে পুরোধা নেতা ছিলেন আমির হোসেন আমু, গোলাম রূপম, সর্দার জালাল, এবিএম সিদ্দিক, নিজাম উদ্দিন তালুকদার। তারা সবাই ছিলেন বিএম কলেজের ছাত্র। এদিকে তখনও স্কুলের গণ্ডি না পেরোনো ছাত্রদের মধ্যে সক্রিয় ছিলেন খান আলতাফ হোসেন ভুলু, জেড আই খান পান্না, সৈয়দ গোলাম মাহবুব প্রমুখ। ছয় দফার বিষয়ে ১৯৬৬ সালের ৭ জুন নিষিদ্ধ লিফলেটসহ বরিশালে গ্রেফতার হন খান আলতাফ হোসেন ভুলু ও সৈয়দ গোলাম মাহবুব। এই দুই স্কুল ছাত্রকে কারাগারে রাখা হয়েছিলো প্রায় ৭ মাস। ১৯৬২ সালে এ কে স্কুলের ছাত্র থাকা কালে খান আলতাফ হোসেন ভুলু ও জেড আই খান পান্নাকে রাজনীতিকে রিক্রুট করেন আমির হোসেন আমু। তখন আমু ও বারেক ছিলেন বরিশালে দাপটের ছাত্র নেতা। জনপ্রিয় মুখ। তাদের অতি আদরের ছিলেন জেড আই খান পান্না।
বনেদী পরিবারের সন্তান জেড আই খান পান্না, নূরুল ইসলাম খানের পুত্র, খান বাহাদুর হাশেম আলী খানের দৌহিত্র। তাদের পরিবার বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিলেন। নূরুল ইসলাম খান ছিলেন আবদুর রব সেরনিয়াবাতের বন্ধু। দুজনেই এক সময় ন্যাপ করতেন। ঢাকা গেলে মন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাতের বাসায় থাকতেন জেড আই খান পান্না। জাসদে সম্পৃক্ত থাকার খবর দৈনিক বাংলার বাণীতে যেদিন প্রকাশিত হয় সেদিন জেড আই খান পান্না ছিলেন আবদুর রব সেরনিয়াবাতের বাসায়। খবরটি দেখে তার সাথে কথা বললেন রব সেরনিয়াবাত। বিষয়টি পছন্দ না করলেও কোন ধরনের উষ্মা প্রকাশ করেননি। এদিকে জেড আই খান পান্না ছিলের তাঁর অবস্থানে অনঢ়। এর পর জেড আই খান পান্না বরিশালে চলে যান এবং চলে যান আন্ডার গ্রাউন্ডে। সেই দিনগুলোতে তিনি কীর্তনখোলা নদীর পূর্ব তীরের এলাকায় থাকতেন।
আন্ডার গ্রাউন্ডে থাকাকালেই জেড আই খান পান্না ১৯৭৫ সালের ১৪ আগস্ট সন্ধ্যায় বরিশাল থেকে লঞ্চে ঢাকায় রওয়ানা হন। ১৫ আগস্ট ভোরে সদর ঘাটে নেমেই পেয়ে যান মহা অঘটনের সংবাদ। প্রথমে তিন হতভম্ভ হয়ে যান। কিছুটা সামলে নিয়ে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন সেরনিয়াবাত পরিবারের সদস্যদের দেখতে গিয়েছিলেন। তার মন্তব্য, ‘সে এক বীভৎস দৃশ্য।’ হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে জাসদের কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে দেখা করে ওইদিনই সন্ধ্যায় তিনি লঞ্চে ওঠেন। ১৬ আগস্ট বরিশালের পৌঁছে দেখেন, সে এক অচেনা শহর! পাল্টে গেছে দৃশ্যপট। একদিন আগেও যাদেরকে দেখেছেন আওয়ামী লীগের জন্য জান কোরবান এবং জেহাদি চেতনায় আওয়ামী বিরোধীদের সংহারে রণচন্ডি- তারাই হয়ে গেছেন আওয়ামী বিরোধী। তাদের মধ্যে একধরনের উল্লাস-উম্মাদনা, ‘হৈ হৈ রই রই, আওয়ামী লীগ গেলো কই।’
আওয়ামী লীগারদের এই জার্সি বদলের দক্ষতা দেখে অনেকের মতো বিস্মিত হয়ে ছিলেন জেড আই খান পান্না। নীরবে দেখেছেন, এতো দিনের মহা আওয়ামী লীগারদের কর্মকাণ্ড। কিন্তু জার্সি বদলকারীরা আবদুর রব সেরনিয়াবাত ও আমির হোসেন আমুর বাড়িতে হামলার জন্য মুখিয়ে উঠলে আর নীরব থাকেননি তিনি। বাধা দিলেন। নব্য আওয়ামী বিরোধী সাবেক আওয়ামী লীগাররা আগের মতোই তাঁকে তখনো ভয় করতো। অনেকেই মনে করেন, সেদিন জেড আই খান পান্নার বাধার কারণেই আবদুর রব সেরিনিয়াবাত ও আমির হোসেন আমুর বাড়িয়ে হামলা হয়নি। হয়তো এই ‘অপরাধেই’ ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর তাকে গ্রেফতার করা হয়। সেবার তিনি জেল খেটেছের টানা দুই বছর এক মাস। আর সেই সময় জেল খাটা মানে কেবল অন্তরীণ থাকা নয়, সাথে ছিলো নানান ধরনের নির্যাতন। তবু তিনি নত হননি।
দৃঢ়চেতা জেড আই খান পান্না চিরকালই তার বিশ্বাসের প্রতি অটল থেকেছেন। লেখাপড়া ও নানান বিষয়ে খোঁজ খবর রাখার ক্ষেত্রে তিনি অসাধারণ। তিনি তাত্ত্বিক আলোচনা করতে পারতেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। আমাদের কাছে পরিচিত ছিলেন ‘বরিশালের সিরাজুল আলম খান’ হিসেবে। নীতি নির্ধারণী বিষয়ের বৈঠকে মূলত তিনিই বক্তব্য রাখতেন। তার প্রধান চাই ছিলেন তিমির দত্ত। এসব বৈঠক হতো গোপনে। কর্নেল তাহেরের মাধ্যমে সামরিক শাসক জেনারেল জিয়াউর রহমানের সঙ্গে জাসদ নেতাদের রাজনীতির আত্মহননের প্রেম, শিয়ালের সঙ্গে মুরগীর সখ্যতা হবার আগ পর্যন্ত রাজদণ্ডের রোষাণল মোকাবিলা করেই টিকে থাকতে হয়েছে জাসদের নেতা-কর্মীদেরকে। ফলে সকল কাজই করতে হয়েছে গোপনে। এ গোপনীয়তা জেলা পর্যায়ে ছিলো আরও বেশি।
বরিশালে মিটিং হতো ঘনঘন। কিছু মিটিং হতো সাদামাটা গোপনীয়তায়। আবার কিছু মিটিং হতো কঠোর গোপনীয়তায়। এর বেশিরভাগই হতো বরিশার শহরের জাইল্যাবাড়ির পোলের কাছে বিএম কলেজের ইন্দোবাংলা হোস্টেলে এবং উল্টো দিকে খালের ওপারে বোমাকুটির নামে পরিচিত একটি বাড়িতে। আরও অনেক স্থানে মিটিং হতো। কিন্তু কোন মিটিংয়েরই স্থান আগে থেকে জানানো হতো না। কেবল তারিখ ও সম্ভাব্য সময় জানিয়ে দেয়া হতো। মিটিংয়ে অংশ গ্রহণকারীদের বিভিন্ন স্থানে থাকতে বলা হতো। আমার জানা মতে এ বিষয়ে সমন্বয় করতের তিমির দত্ত। আমার জন্য নির্ধারিত এলাকা ছিলো বরিশাল সদর ঘাট। আজকের ঘাট থেকে কিছুটা উত্তর দিকে। সে সময়ের বিউটি হল সোজা ঠিক পূর্বদিকে।
প্রথম দিকে অপেক্ষার বিষয়টি বিরক্তিকর হলেও পরে সময় ভালো কাটতো। লঞ্চে নানান রকমের মানুষের আসা-যাওয়া দেখতাম। তাদের বেশিরভাগই ছিলো দরিদ্র শ্রেণির। আর সবাই থাকতেন এক ধরনের আতঙ্কে। লঞ্চযাত্রীদের উপর ঘাট শ্রমিক নামে একদল মানুষের জুলুম চলতো। এই সব দৃশ্য আমার ভালো লাগতো না। তবে নদী বেশ ভালো লাগতো। তখন স্বচ্ছ পানির কীর্তনখোলা ছিলো বেশ প্রাণবন্ত। কিন্তু সে নদীর প্রাণ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিলো এক পর্যায়ে। দখল-দূষণে এখন সেই নদী মৃত প্রায়।
সদর ঘাটে অপেক্ষার সময় একদিন দেখলাম আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ টার্মিনালের কাঠের পাটাতনে দাঁড়ানো। সফেদ পাঞ্জাবি-পাজামা পরা। নিজের অবস্থান ভুলে তার দিকে বারবার তাকাচ্ছিলাম। মনে হচ্ছিলো, কাছ থেকে হুবহু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দেখছি। যাঁকে জীবনে একবারই দেখেছি ভোলার চরফ্যাশনের কলেজের মাঠে, চরফ্যাশন স্কুলে পড়ার সময়।
আমার বারবার তাকানোর বিষয়টি এক পর্যায়ে হয়তো চোখে পড়েছিলো আবুল হাসনাত আবদুল্লাহর। তিনি হাতের ইশারায় ডাকলেন। আমার ভিতরটা ধক করে উঠলো। খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। মনে হলো সর্বনাশ হয়ে গেছে। ভাবলাম, ধরা পড়েছি। চাইলেও পালাতে পারবো না- এমনটা ভেবে ভয়ে ভয়ে কাছে গেলাম। ধরেই নিয়েছিলাম, কাউকে দিয়ে তিনি আমাকে পুলিশের হাতে তুলে দেবেন। অথবা স্পটেই ‘বিচার’ করাবেন কাউকে দিয়ে। কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে বললেন, আগে লেখাপড়া শেষ করো। রাজনীতি করার অনেক সময় পাবা।
বাঘের খাঁচা থেকে বের হবার স্বস্তি নিয়ে দ্রুত সদরঘাট এলাকা ছাড়লাম। সেদিন আর মিটিং-এ যাওয়া হলো না। পরদিন ঘটনাটি তিমির দত্তকে জানালাম। তিনি বললেন, সর্বনাশ! বেঁচে গেছো। বললেন, তোমাকে ফলো করতে পারে। গ্রামের বাড়ি চলে যাও। ১৫ দিনে আর শহরে আসবা না। তখন আমি শহরের বটতলায় থাকি। ১৯৭২ সালে নির্মিত সেই ঘরটি এখনো আছে। কিন্তু পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া সেই খালটি আর নেই। প্রথমে এই খাল দখল করে দোতলা মার্কেট বানিয়েছে বরিশাল জেলা পরিষদ। পরে খালের বাকি অংশ ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়নের নামে কাভার্ড ড্রেন বানিয়ে সর্বনাশ করা হয়েছে বিদেশি অর্থায়নে। এর ফলাফল হয়েছে, দিনের বেশিরভাগ সময়ে বটতলা মোড়ে তীব্র যানজট এবং সামান্য বৃষ্টিতেই অন্তত এক কিলোমিটার এলাকার সড়ক জলমগ্ন হয়ে যাওয়া। তখন রাস্তার অবস্থাই হয়ে যায় জেলা পরিষদের ‘মার্কেট আগ্রাসনে’ হারিয়ে যাওয়া বটতলা খালের মতো।
তিমির দত্ত ১৫ দিন শহরের বাইরে থাকতে বললেও, গ্রামের বাড়িতে দিন দশেক কাটাবার পর আবার শহরে আসি। বসবাস বটতলায়ই। কিন্তু মিটিং-এর জন্য আমার অপেক্ষার স্থান বদল করে দেয়া হলো। নির্ধারিত হলো বিবির পুকুরের পূর্বপাড়ে পাবলিক লাইব্রেরি। যেটি এখন রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়। নদী থেকে দূরে এসে প্রথম দিকে খারাপ লাগছিলো। তবে কয়েকদিনের মধ্যেই অন্য রকম ভালো লাগতে শুরু করলো। বই পড়ার নেশায় পেয়ে বসলো। সে সময় অনেক বই ছিলো বরিশাল পাবলিক লাইব্রেরিতে। এখন স্থানান্তরিত পাবলিক লাইব্রেরি ভবনের তালাই খোলা হয় না বলে শুনেছি।
স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে পরপর দুই সরকারের আমলেই বরিশালে আমাদেরকে গোপনে বৈঠক করতে হয়েছে। একাধিকবার বৈঠক স্থলে পুলিশ রেড করেছে। তবে তা করেছে বৈঠক শেষ হবার পর। এমনকি বৈঠক চলাকালে কেউ খবর দিতো, রেড হবে। ফলে বরিশালের জাসদের গোপন বৈঠকে যতবারই পুলিশ রেড করেছে, তার কোনবারই কাউকে পাওয়া যায়নি। তখনই এটি আমার কাছে এক গোলক ধাঁধা মনে হয়েছে।
এর প্রধান কারণ হতে পারে দুটি। এক. প্রশাসনের ভিতরের বিভিন্ন শক্তিকেন্দ্র সরকারি সিদ্ধান্তের বিপক্ষে কাজ করতো। এ রকম শক্তি সক্রিয় থাকে সকল সরকারের সময়ই। যেটি বঙ্গবন্ধু সরকারের সময় প্রকট ছিলো। এখনো আছে। দুই. সেই সময়ে জাসদের মুখোমুখি হবার বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চেয়েছে পুলিশ। অথবা তাদের সক্ষমতা ছিলো না। সাম্প্রতিক সময়ে জঙ্গী আস্তানায় অভিযান চালাবার যে সক্ষমতা আইন শৃঙ্খলা বাহিনী অর্জন করেছে, নিশ্চয়ই সেটি বঙ্গবন্ধু সরকারের আমলে ছিলো না। আর জিয়া সরকারের সময় রাতারাতি এই সক্ষমতা অর্জিত না হলেও পুলিশ ছিলো খুবই মারমুখী। তখন জেলখানাগুলো ভরে ফেলা হয়েছিলো আওয়ামী লীগ ও জাসদের নেতা-কর্মীতে। জেলে নেওয়ার আগে নানানভাবে নির্যাতন চালানো হতো। জেলখানায় সদ্য নেয়া নেতা-কর্মীদেরকে সতীর্থদের চিনতেও খানিকটা সময় লাগতো।
জেলখানায় আওয়ামী লীগ ও জাসদ নেতা-কর্মীরা পরস্পরের প্রতি খুবই সহানুভূতিশীল ছিলেন। অথচ এর আগে ছিলেন মুখোমুখি, ছিলো চরম বৈরিতা। মুখিয়ে থাকতেন একে অপরকে বিনাশ করার জন্য। এই দুই বিপরীতমুখী রাজনীতির নেতা-কর্মী দিয়ে জেনারেল জিয়া সরকারের আমলে জেলখানাগুলো ভরে ফেলা হয়েছিলো। এই কঠিন বাস্তবতার মধ্যেও পান্না ভাই কখনো কখনো তাঁর পৈত্রিক বাড়িতেও বৈঠক করেছেন। এমনই এক বৈঠকে, তিনি বলেছিলেন ‘আমাদের রাজনীতির সাথে ১৫ আগস্ট সমান্তরালে যায় না। এর ফল শুভ হবে না।’ এর উদাহরণ দিতে গিয়ে পিলারের সাইজ অনুসারে নির্দিষ্ট মাপের রড ব্যবহারের অনিবার্জতা উল্লেখ করে জেড আই খান পান্না বলেছিলেন, ‘বেশি-কম হলে বিল্ডিং টেকে না!’
জেড আই খান পান্নার মতো জাসদের শীর্ষ নেতারা ক’জন ভাবতেন তাতো বরিশাল থেকে সে সময় আমাদের জানার উপায় ছিলো না। তবে শুনেছি, শুরুতে জাসদের অবস্থান এরকমই ছিলো। কিন্তু পরে শীর্ষ নেতাদের অনেকেই উল্টোটা ভাবতে শুরু করলেন। জেড আই খান পান্নার মূল্যায়ন, এ হচ্ছে রাজনীতি থেকে সরে আসার ফল।