মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৫ অপরাহ্ন

তাবলিগ জামাতের আলমে শূরার দাবি ১০ জানুয়ারি থেকে ৬৪ জেলার ইজতেমা একসাথেই

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২০
  • ২৮৩ বার

আসন্ন বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে তাবলিগ জামাতের আলমে শুরা (বিশ্ব পরামর্শ সভা)। শনিবার রাজধানীর উত্তরায় একটি হোটেলে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তাবলিগ সাথীরা বলেন, তাবলিগ জামাত ভাগ হয়নি এবং আলমে শুরার (বিশ্ব পরামর্শসভার) তত্ত্বাবধানে দেশের ৬৪ জেলার মুসল্লিদের নিয়ে এক পর্বেই আগামী ১০, ১১, ১২ জানুয়ারি বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করছে শুরায়ে নেজাম (মাসোয়ারা বোর্ড)।

অথচ ১০ জানুয়ারির এই ইজতেমাকে দেশের উত্তরাঞ্চলের ইজতেমা বলে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে তারা অভিযোগ করেন। উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চল নয় বরং দেশের ৬৪ জেলার তাবলিগ সাথীদের নিয়েই আগামী ১০ জানুয়ারি শুক্রবার থেকে তিন দিনব্যাপী বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। কোনো স্বঘোষিত আমিরের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে বা শখসি নেজামের ইজতেমায় আলেমগণের কোনো সম্মতি নেই বলেও তাবলিগ সাথীগণ দাবি করেন।

তারা বলেন, মাওলানা সা’দ কান্ধলভি ২০১৪ সালে নিজেকে তাবলিগ জামাতের একক আমির দাবি করেন এবং শরিয়ত বা দ্বীনের হক আকিদা পরিপন্থী একাধিক বক্তব্য দিয়ে দ্বীনের ভেতর ফেতনা সৃষ্টি করেন। ফলে তার স্বঘোষিত আমিরের দাবি এবং কুরআন-হাদিসখেলাপি সব বক্তব্য প্রত্যাহার করে প্রকাশ্যে তওবা না করা পর্যন্ত সা’দ সাবকে তাবলিগ জামাতে নিষিদ্ধ করেছেন দেওবন্ধসহ দেশ-বিদেশের শীর্ষ আলেমগণ। তাবলিগ সাথীগণ আরো বলেন, তাবলিগ জামাতে অর্থনৈতিক বা নেতৃত্ব নিয়ে কোনো বিরোধ নেই বরং একমাত্র সা’দ সাবের শরিয়ত বিরোধী বক্তব্য ও উনার একক নেতৃত্বের উচ্চাভিলাসী সিদ্ধান্তের কারণেই তাবলিগে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়েছে।

মতবিনিময় সভায় তাবলিগ সাথীগণ’ দ্বীন ও আলেম ওলামারা ক্ষতিগ্রস্ত হন এমন খবর পরিবেশন না করে সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ খবর পরিবেশনের জন্য সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানান। তারা বলেন, শরিয়তের বিধান অনুযায়ী পুরুষদের সমাবেশের ভেতর নারীদের অবস্থানের কোনো সুযোগ নেই। ফলে ইজতেমার মূল প্যান্ডেলে নারীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ রয়েছে। অথচ গত বছর শখসি নেজাম বা সাদিয়ানি ইজতেমার কলেবর বৃদ্ধি করতে মূল প্যান্ডেলের ভেতর নারীদের জায়গা দেয়া হয়। এমনকি বিভিন্ন পোশাক কারখানা থেকে বিপুলসংখ্যক পুরুষ ও নারী শ্রমিক সমাবেশ ঘটিয়ে ইজতেমার কলেবর বৃদ্ধির ব্যর্থ চেষ্টা করা হয়।

মতবিনিময় সভায় মাওলানা শাহরিয়ার মাহমুদ, মাওলানা আব্দুল্লাহ শামীম, হাজী নাদিম মাহমুদ, মোস্তাফা কামাল, জহির ইবনে মুসলিম, তারেক মাহমুদসহ টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনের বিভিন্ন সেক্টরের দয়িত্বশীলরা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com