ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসনের পর থেকে ৩৩ লাখের বেশি মানুষ দেশটি ছেড়ে প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়া প্রায় ৬৫ লাখ মানুষ দেশের অভ্যন্তরেই বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। ইউক্রেনের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ইরিনা ভেরেশচুক গতকাল শনিবার এ তথ্য দেন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসিকে।
জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর’র তথ্য মতে, যুদ্ধ শুরুর পর গত শুক্রবার পর্যন্ত ইউক্রেনের ৩৩ লাখ ২৮ হাজার ৬৯২ জন মানুষ দেশ ছেড়েছে। এছাড়া বিভিন্ন দেশে আশ্রয়ের উদ্দেশ্যে আরও ৫৮ হাজার ৩০ জন ইউক্রেনীয় ঘরবাড়ি ছেড়েছে।
ইউক্রেন ছেড়ে যাওয়াদের মধ্যে ৯০ শতাংশই নারী ও শিশু। কারণ ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী পুরুষদের যুদ্ধ করার জন্য দেশে থাকতে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে।
ইউএনএইচসিআর-এর প্রধান ফিলিপ্পো গ্রান্ডি বলেন, ‘বোমা হামলা, বিমান হামলা ও নির্বিচার ধ্বংসযজ্ঞের আশঙ্কায় ভীত হয়ে ইউক্রেন ছেড়ে অন্য দেশে পালানো অব্যাহত রয়েছে। এখন এসব মানুষের কাছে সাহায্য পৌঁছানো খুব জরুরি। কিন্তু এতে তাদের ভয় কাটবে না। ভয় কাটবে শুধু যুদ্ধ বন্ধ হলে।’
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার হিসাব অনুযায়ী বুধবার পর্যন্ত ইউক্রেনজুড়ে আনুমানিক ৬৪ লাখ ৮০ হাজার মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। অন্যদিকে ইউএনএইচসিআর প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে, ইউক্রেনের ৪০ লাখ মানুষ দেশত্যাগ করতে পারেন। তবে গত সপ্তাহে তারা বলেছে, এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
এছাড়া লাখ লাখ মানুষ বাড়িঘর ছাড়লেও তারা ইউক্রেনের বিভিন্ন সীমান্তে আটকা আছেন বলে জানা গেছে।