চলচ্চিত্রের সবচেয়ে সম্মানজনক আসর ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২০’ আজ বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ১২টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এই আয়োজনে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার পক্ষে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ পুরস্কার তুলে দেন। এবারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন খ্যাতিমান দুই বর্ষীয়ান তারকা আনোয়ারা বেগম ও রাইসুল ইসলাম আসাদ।
তবে পুরস্কার প্রধান অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি কিংবদন্তি অভিনেত্রী আনোয়ারা। বর্ষীয়ান এই অভিনেত্রী গুরুতর অসুস্থ থাকায় তার পক্ষে পুরস্কার গ্রহণ করেন মেয়ে অভিনেত্রী মুক্তি।
তিনি জানান, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে তার মায়ের স্মৃতিবিভ্রম হয়েছে। আর এ কারণে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি আনোয়ারা। গুণী এই অভিনেত্রী অসুস্থ জানতে পেরে দুঃখ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় তিনি বলেন, ‘আজকে আনোয়ারা আসতে পারেনি। আমি জানতাম না যে আনোয়ারা অসুস্থ। শোনে খুব দুঃখ পেলাম। তার রোগ মুক্তি কামনা করি।’
কিংবদন্তি এই অভিনেত্রী যে কোনো সহযোগিতায় পাশে থাকার কথাও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এদিকে, গুণী নির্মাতা ও অভিনেতা গাজী রাকায়েত পরিচালিত ‘গোর’ সিনেমাটি সর্বোচ্চ ১১টি পুরস্কার জিতেছে। ৮টি পুরস্কার নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে চয়নিকা চৌধুরীর ‘বিশ্বসুন্দরী’। এর মধ্যে ‘বিশ্বসুন্দরী’ থেকে চিত্রনায়ক সিয়াম শ্রেষ্ঠ অভিনেতা ও ‘গোর’ থেকে চিত্রনায়িকা দীপান্বিতা মার্টিন হয়েছেন শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ২০২০ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারগুলো :
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র- যৌথভাবে
১. গোর (গাজী রাকায়েত, ফরিদুর রেজা সাগর)
২. বিশ্বসুন্দরী (অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু)
শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র- আড়ং
শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র- বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন ও বাংলাদেশের অভ্যুদয়
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক- গাজী রাকায়েত হোসেন (গোর)
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা- সিয়াম আহমেদ (বিশ্বসুন্দরী)
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী- দীপান্বিতা মার্টিন (গোর)
শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব-অভিনেতা- ফজলুর রহমান বাবু (বিশ্বসুন্দরী)
শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব-অভিনেত্রী- অপর্ণা ঘোষ (গণ্ডি)
শ্রেষ্ঠ খল-অভিনেতা- মিশা সওদাগর (বীর)
শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী- মুগ্ধতা মোর্শেদ হৃদ্ধি (গণ্ডি)
শিশুশিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার- শাহাদৎ হাসান বাধন (আড়ং)
শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক- বেলাল খান (হৃদয় জুড়ে)
শ্রেষ্ঠ নৃত্যপরিচালক- প্রয়াত সহিদুর রহমান (বিশ্বসুন্দরী)
শ্রেষ্ঠ গায়ক- ইমরান মাহমুদুল (বিশ্বসুন্দরী)
শ্রেষ্ঠ গায়িকা- যৌথভাবে
১. দিলশাদ নাহার কণা (বিশ্বসুন্দরী)
২. সোমনুর মনির কোনাল (বীর)
শ্রেষ্ঠ গীতিকার- কবির বকুল (বিশ্বসুন্দরী)
শ্রেষ্ঠ সুরকার- ইমরান মাহমুদুল (বিশ্বসুন্দরী)
শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার- গাজী রাকায়েত (গোর)
শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার- গাজী রাকায়েত (গোর)
শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা- ফাখরুল আরেফীন খান (গণ্ডি)
শ্রেষ্ঠ সম্পাদক- শরিফুল ইসলাম (গোর)
শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক- উত্তম কুমার গুহ (গোর)
শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক- যৌথভাবে
১. পঙ্কজ পালিত (গোর)
২. মাহবুব নিয়াজ (গোর)
শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক- কাজী সেলিম আহমেদ (গোর)
শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জা- এনাম তারা বেগম (গোর)
শ্রেষ্ঠ মেকআপম্যান- মোহাম্মদ আলী বাবুল (গোর)