নিউইয়র্কের কুইন্স কমিউনিটি বোর্ড নং ৪ এর মেম্বার হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতি বিশ্লেষক ও নিউইয়র্কে বাংলাদেশী সমাজে হোম কেয়ার সেবার পথ প্রদর্শক নেতা আবু জাফর মাহমুদ। বরো প্রেসিডেন্ট দনবান রিচার্ড এর অফিস থেকে ৪/৪/২০২২ সোমবার এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। ১ এপ্রিল ২০২২ থেকে দুই বছরের মেয়াদে এই মেম্বারশীপ কার্যকর থাকবে। দায়িত্ব পালনের ভিত্তিতে পরবর্তীতে মেম্বারশীপ মেয়াদ বৃদ্ধি পাবে। এবছর কুইন্সের ১৪টি কমিউনিটি বোর্ডের ৩৪৫টি আবেদন পত্র গৃহিত হয়েছে ৮৮৪টির মধ্যে। আবেদন পত্র জমা হবার ইতিহাসে এবার সর্বোচ্চ আবেদনের মধ্যে এবার হয়েছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
নিউইয়র্কের বাসিন্দা বাংলাদেশী আমেরিকান আবু জাফর মাহমুদ আমেরিকার মুলধারার রাজনীতিতে একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। তিনি বাংলাদেশীদের মধ্যে যেমন পরিচিত ও সমাদৃত, মুলধারার রাজনীতিকদের মধ্যেও তার গ্রহনযোগ্যতার উচ্চতা সাজিয়েছেন। নিউইয়র্কে তাঁর অবস্থান ৩০ বছর অতিক্রম করতে চলেছে। সামাজিক, রাজনৈতিক কর্মকান্ড ছাড়িয়ে তিনি মিডিয়া জগতেও আপনজন্ন হয়েছেন তার স্বভাব সুলভ আচরণ ও জীবন দৃষ্টিভঙ্গির বৈশিষ্টের গুণে। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক সম্পর্ক ও বিশ্ব রাজনীতির নানা দিক নিয়ে তাঁর লেখা পাঠক মহলে তাঁকে বিশেষ স্থান করে দিয়েছে। সমাজে বহুল আলোচিত এই রাজনীতিক বাংলাদেশ স্বাধীন হবার আগে থেকে মানবিক মূল্যবোধ ও দেশপ্রেমকে জীবনাদর্শ রূপে গ্রহন করে আন্দোলন সংগ্রামে সাধারণ মানুষের আপন জন থাকার পথ সন্ধানে নিবেদিত থাকেন।
১৯৬৭ সনে জীবনের প্রথম পুরস্কার অর্জন করেন ঢাকা বাংলা একাডেমী থেকে। দেশাত্নবোধক কবিতা লিখে সারা পূর্ব পাকিস্তানে তিনি দ্বিতীয় পুরস্কার পান। সন্দ্বীপে জন্মগ্রহনকারি আবু জাফর মাহমুদ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেন তৎকালীন কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক এবং সন্দ্বীপ থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা কালে। দেরাদুন মিলিটারী একাডেমি থেকে সামরিক পাস আউট করে বি এল এফের পার্বত্য চট্টগ্রাম জুড়ে মাউন্টেন ব্যাটেলিয়নের একজন অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজতত্ত্বে এম এ পাশ করেন তৎকালীন বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তীকালীন অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নিজের বিশেষ শিক্ষায় শিক্ষিত হবার তাগিদে একদিকে একাডেমিক শিক্ষা এবং অপরদিকে রাষ্ট্র পরিচালনা সম্পর্কিত জ্ঞান অন্বেষণের পথ খুঁজতে নামেন তিনি।
অনেককে অবাক করে দিয়ে সাম্প্রতিক ডেমোক্রেটিক প্রাইমারী নির্বাচনের দিন সকাল বেলায় একজন মেয়ার প্রার্থী, একজন কুইন্স বরো প্রেসিডেণ্ট পদপ্রার্থী, একজন কাউন্সিলম্যান পদপ্রার্থী এবং একজন জাজ এর পক্ষে র্যালি(মিছিল) করেন জ্যাক্সন হাইটসের ৭২-২৮ ব্রডওয়ে নিজ কার্যালয় থেকে। মিছিলের ব্যানারে প্লেকার্ডে থাকা ছবিতে দেখানো এই প্রার্থীরাই আজ একজন হলেন নিউইয়র্ক সিটি মেয়র, একজন কুইন্স বরো প্রেসিডেন্ট, একজন হলেন জ্যাক্সন এলাকার কাউন্সিল্ম্যান এবং অপরজন হলেন বাংলাদেশী আমেরিকান জাজ সোমা সাঈদ। আবু জাফর মাহমুদ সব সময় নেতা তৈরীর দায়িত্ব পালন করেছেন। নিজেকে নেতার পদে নেয়ার চিন্তায় অভ্যস্থ হন নি। নিউইয়র্কে হোম কেয়ারের মাধ্যমে বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের সেবা দেয়ার আমেরিকান মডেলকে ভালোবাসা, আদর যত্নে বাঙালী সমাজে এক অপূর্ব হোম কেয়ার সৃষ্টির অগ্রদূতের নাম আবু জাফর মাহমুদ। বাংলা সিডিপ্যাপ হম কেয়ার এখন পত্রিকার পাতা খুললেই দেখা যায়। শীঘ্রই তাকে দেখা মিলবে এলমহার্ষ্ট হাসপাতাল পরিচালনায় ব্যবস্থাপক এবং ডাক্তারদের সাথে অন্যান্য হাসপাতাল সহ চিকিৎসা কেন্দ্রে মানুষের সেবায় আধুনিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতে দায়িত্ব পালনে।