বরগুনার বহুল আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রথম সাক্ষ্যগ্রহণের দিন বুধবার। আজ থেকে এ মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেছেন বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
সাক্ষ্যগ্রহণের প্রথম দিন আলোচিত এ হত্যা মামলায় প্রথমেই সাক্ষ্য দিচ্ছেন নিহত রিফাতের বাবা মিন্নির শ্বশুর আবদুল হালিম দুলাল শরীফ। সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর দিন আদালতে তিনিই সাক্ষ্য দিচ্ছেন। এরপর পর্যায়ক্রমে অন্যদের সাক্ষ্যগ্রহণ করবেন আদালত।
এছাড়াও একই দিনে এ মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের দিন ধার্য রয়েছে। এ উপলক্ষে যশোর শিশু কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে থাকা অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামিকে বরগুনার আদালতে আনা হয়েছে।
রিফাত শরীফ হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামিরা হলেন রাশিদুল হাসান রিশান ফরাজী, মো. রাকিবুল হাসান রিফাত হাওলাদার, মো. আবু আবদুল্লাহ রায়হান, মো. ওলিউল্লাহ অলি, জয় চন্দ্র সরকার চন্দন, মো. নাইম, মো. তানভীর হোসেন, নাজমুল হাসান, রাকিবুল হাসান নিয়ামত, মো. সাইয়েদ মারুফ বিল্লাহ মহিবুল্লাহ, মারুফ মল্লিক, প্রিন্স মোল্লা, রাতুল সিকদার জয় ও আরিয়ান হোসেন শ্রাবণ।
এ বিষয়ে রিফাত হত্যা মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী মজিবুল হক কিসলু বলেন, বুধবার থেকে রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। সাক্ষ্যগ্রহণের প্রথম দিন আদালতে প্রথম সাক্ষ্য দিচ্ছেন নিহত রিফাত শরীফের বাবা দুলাল শরীফ। আজ তিনি একাই সাক্ষ্য দিচ্ছেন আদালতে। এরপর পর্যায়ক্রমে অন্যদের সাক্ষ্যগ্রহণ করবেন আদালত।
গত ১ জানুয়ারি রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এই ১০ আসামির মধ্যে রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি, আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান, মো. মুসা ও আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে ৩০২ এবং ৩৪ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়।
এছাড়া রাফিউল ইসলাম রাব্বি এবং কামরুল ইসলাম সাইমুনের বিরুদ্ধে হত্যার ষড়যন্ত্র এবং আসামিদের পালাতে সহায়তা করার অভিযোগে ২১২ এবং ১২০ (বি) ১ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়। অপর আসামি সাগরের বিরুদ্ধে হত্যার ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে অভিযোগ গঠন করা হয়।
গত ২৬ জুন বরগুনার সরকারি কলেজের সামনে রিফাত হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়। এ ঘটনায় ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্তবয়স্ক ও অপ্রাপ্তবয়স্ক; দুই ভাগে বিভক্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জন।
এ মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রাপ্তবয়স্ক আসামি মো. মুসা এখনো পলাতক রয়েছেন। এছাড়া নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি ও অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামি প্রিন্স মোল্লা উচ্চ আদালতের নির্দেশে জামিনে রয়েছেন। অন্য সব আসামি কারাগারে।