সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সরস্বতী পূজার কারণে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি-ডিএসসিসি) ভোট গ্রহণের তারিখ পেছানোর ব্যাপারে দোদুল্যতায় রয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সে বিষয়ে পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিতে রোববার কমিশন সভা করেও কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তারিখ পরিবর্তন নিয়ে আদালতে রীট করায় এখন আদালতের দিকে তাকিয়ে আছে। সোমবার আদালতের সিদ্ধান্তের পর ইসি আবার বসবে বলে কমিশন সূত্রে জানা গেছে।
কমিশনের বৈঠক সূত্র জানায়, আগামী ২ মার্চ ভোটার দিবস উদযাপন বিষয়ে আলোচনা হয়। এসময় জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার সরস্বতী পূজার কারণে ভোটের দিন পরিবর্তনের বিষয়টি উত্থাপন করেন। অন্য নির্বাচন কমিশনরারও আলোচনায় অংশ নেন। পরে ইসির আইন শাখার কর্মকর্তাদের কাছে রিট আবেদনের সবশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত থেকে এখনো কোনো রায় পাওয়া যায়নি। পরে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক শেষ করা হয়।
সভাশেষে নির্বাচন কমিশনার মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা ৩০ জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটিতে ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আদালতে একটি রিট আবেদন হয়েছে। আদালত কোনো নির্দেশনা দিলে তা আমরা সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেবো।
উল্লেখ্য, সরস্বতী পূজার কারণে নির্বাচন পেছানোর জন্য দু’দফা আবেদন করেছে বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ। নির্বাচন পেছানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী ও নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন জানিয়েছে জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশ। এছাড়া একই কারণে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদনও করেছেন সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী অশোক কুমার ঘোষ।
অন্যদিকে গত ৯ জানুয়ারি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ভোট পেছানোর একটি আবেদনও করেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে ১০ জানুয়ারি ভোট পেছাতে ইসি সচিব মো: আলমগীরকে একটি সুপারিশও ইসিতে পাঠিয়েছে রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন।
অন্যদিকে, কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি/সমমান পরীক্ষা। ৩১ জানুয়ারি শুক্রবার। জুমার দিন সাধারণ নির্বাচন সম্পন্ন করা যায় না। আবার ৩০ জানুয়ারি আগে ভোট করার সুযোগও কম। এক্ষেত্রে হয় এসএসসি/সমমান পরীক্ষা পেছাতে হবে। অন্যথায় নির্বাচন পরীক্ষা শেষে মার্চে নিয়ে যেতে হবে।