উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ তাকে যুক্তরাজ্য থেকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি চেয়েছেন।
ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল তাকে ওয়াশিংটনের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেওয়ার দুই সপ্তাহ পর শুক্রবার অ্যাসাঞ্জের ভাই গ্যাব্রিয়েল শিপ্টন গণমাধ্যমকে এ আবেদনের কথা জানান। খবর রয়টার্সের।
উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতাকে ঘিরে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ব্যাপক আইনি লড়াই চলছে।
গুপ্তচরবৃত্তিসহ ১৮টি অভিযোগে ৫০ বছর বয়সী অ্যাসাঞ্জের বিচার করতে চাইছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ।
তার প্রতিষ্ঠান উইকিলিকস যে বিপুল পরিমাণ মার্কিন সামরিক নথি ও কূটনৈতিক তারবার্তা ফাঁস করেছে, তাতে অনেক কর্মকর্তার জীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছিল বলে ভাষ্য ওয়াশিংটনের।
যুক্তরাজ্যের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে প্রত্যর্পণের আনুষ্ঠানিক অনুমতি দিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য বিষয়টি ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঠিয়েছিল।
ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল গত মাসে আদালতের সেই আদেশে সই করেন।
সেই সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাসাঞ্জকে পাঠানো তার জন্য নিপীড়নমূলক, অন্যায় বা তার মানবাধিকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে আদালতের পর্যবেক্ষণে এমনটি উঠে আসেনি।
প্রত্যর্পণের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ায় জন্ম নেওয়া অ্যাসাঞ্জের আইনি দল আপিলের আবেদন করেছেন বলে জানিয়েছেন শিপ্টন।
আদালত অনুমতি দিলে ওই আপিল শোনা হবে; এ সংক্রান্ত আইনি লড়াই শেষ হতে কয়েক মাসও লাগতে পারে।
অ্যাসাঞ্জকে নিয়ে এই টানাহেঁচড়া শুরু হয়েছিল ২০১০ সালের শেষ দিকে, যখন যৌন নিপীড়নের অভিযোগে ব্রিটেন থেকে অ্যাসাঞ্জের প্রত্যর্পণ চেয়েছিল সুইডেন।
ওই মামলায় হেরে অ্যাসাঞ্জ ২০১২ সালে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে আশ্রয় নেন। পরের সাত বছর সেখানেই ছিলেন তিনি।