বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:০০ অপরাহ্ন

সিন্ডিকেট ইস্যুতে বাংলাদেশ দূতাবাস ও বেস্টিনেট কার্যালয়ে মালয়েশিয়ার দুদক

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৭ জুলাই, ২০২২
  • ১১২ বার

বাংলাদেশ থেকে কলিং ভিসায় কর্মী নিয়োগে যে ২৫ এজেন্সি চূড়ান্ত করা হয়েছে তাতে অনিয়ম দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন মালয়েশিয়ার একাধিক নিয়োগকর্তা ও এনজিও সংস্থা। গত সপ্তাহে এনজিও সংগঠন এখলাস কর্তৃক মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী এম সারাভানানের বিরুদ্ধে মামলা করার পর তদন্তে নেমেছে দেশটির দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। মালয়েশিয়াতে এ প্রতিষ্ঠানকে বলা হয় এমএসিসি বা এসপিআরএম।

জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেন দূতাবাস কর্মকর্তা ও বেস্টিনেট প্রধান। বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে দ্য স্টার অনলাইন মালয়েশিয়া।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কথিত সিন্ডিকেটের মূল হোতা হিসেবে দাতোক সেরি-এর নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠান বেস্টিনেট কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। পাশাপাশি মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের একজন ঊর্ধতন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সংস্থাটি।

বেস্টিনেট-এর প্রধান দাতু আমিন যিনি বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত বর্তমান মালয়েশিয়ার প্রভাবশালী নাগরিক। তাকেসহ কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার (লেবার) জনাব নাজমূস সাদাত সেলিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান তান সেরী আজম বাকি।

তিনি বলেন, আমরা এই অভিযোগের যথাযথ তদন্ত করবো এবং আমাদের তদন্তের অংশ হিসেবে আরো একাধিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করবো।

বেস্টিনেট হলো সরকারকে ফরেন ওয়ার্কার সেন্ট্রালাইজড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (FWCMS) প্রদান ও পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত আধা সরকারি সংস্থা। এই সংস্থাটির দায়িত্বে রয়েছেন দাতু আমিন যিনি বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত মালয়েশিয়ার নাগরিক।

এদিকে মালয়েশিয়ার দ্য ভাইবস পত্রিকা বলছে, বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার (শ্রম) নাজমূস সাদাত সেলিম তদন্ত দলের কাছে বলেছেন, ২৫ এজেন্সি এবং ২৫০ সাব এজেন্সি নির্বাচনে বাংলাদেশ সরকারের কোন ভূমিকা নেই। কারণ বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বৈধ ১৫২০টি রিক্রুটিং এজেন্সির তালিকা মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়কে সরবরাহ করা হয়েছিল স্বাধীনভাবে শ্রমিক প্রেরণের ব্যবস্থায় অনুমোদন করার জন্য। কিন্তু এ বিষয়ে সাড়া পাওয়া যায়নি। তাছাড়া প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমেদ এই ২৫ এজেন্সি নির্বাচনের বিষয়টি বাতিল করেছিলেন কারণ দু’দেশের স্বাক্ষরিত এমওইউ চুক্তিতে এই বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত ছিল না।

এ বিষয়ে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত গোলাম সারোয়ার ও মিনিস্টার (শ্রম) নাজমূস সাদাত সেলিমকে একাধিক ম্যাসেজ দিলেও কোনো উত্তর দেননি।

এর আগে ২৫ এজেন্সি নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে এনজিও সংগঠন এখলাস মামলা করেছিল। তাছাড়াও মালয়েশিয়ার একটি নিয়োগকর্তা সংগঠন সংবাদ সম্মেলন করে এই ২৫ এজেন্সির সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। একাধিক মহল মানবসম্পদমন্ত্রী এম সারাভানানের ভূমিকায় তীব্র সমালোচনা করলেও তিনি তার অবস্থানে অটল রয়েছেন।

গতকাল বুধবার প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমেদ কলিং ভিসায় মালয়েশিয়ায় যাওয়ার খরচ ৮০ হাজার নির্ধারণ করলেও সংশ্লিষ্টরা বলছেন এটাই শেষ নয়। ঘাটে ঘাটে প্রবাসীদের খরচ গুনতে হবে। মালয়েশিয়ায় পৌঁছানো পর্যন্ত কয়েক গুণ খরচ বেড়ে যাবে। কারণ এর আগে মাত্র ৪০ হাজার টাকা সরকারিভাবে নির্ধারণ করলেও কর্মীদের গুনতে হয়েছে সাড়ে তিন লাখ টাকা। তারপরও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এবারও খরচ সাড়ে তিন লাখ ছাড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন শ্রমবাজার সংশ্লিষ্টরা।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com