দলীয় মন্ত্রী ও এমপিদের সমর্থন হারিয়ে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হচ্ছে বরিস জনসনকে। কিন্তু কীভাবে এই পরিণতি হলো জনসনের? ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
কনজারভেটিভ পার্টির এমপি ক্রিস পিনচারের ঘটনা
বরিসের এই পরিণতির পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে কনজারভেটিভ পার্টির পার্লামেন্ট সদস্য ও সাবেক ডেপুটি চিফ হুইপ ক্রিস পিনচারকে ঘিরে বিতর্কিত কয়েকটি ঘটনা। গত ২৯ জুন লন্ডনের একটি ক্লাবে গিয়েছিলেন তিনি। পিনচারের ভাষায়, ওই ক্লাবে তিনি ‘অত্যধিক মদ পান করেছিলেন’। এমনকি এ ঘটনা তার নিজের কাছেই ছিল ‘বিব্রতকর’। ওই ক্লাবে পিনচার দুই ব্যক্তিকে হয়রানি করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। এসবের সূত্র ধরে তার বিরুদ্ধে আরও কিছু অভিযোগ সামনে আসে। সেগুলোর কয়েকটি আবার কয়েক বছরের পুরোনো।
করোনায় স্বাস্থ্যবিধি অমান্য
তখন যুক্তরাজ্যে চলছিল করোনার কঠোর বিধিনিষেধ। তার মধ্যেই ডাউনিং স্ট্রিটে সরকারি বাসভবনে এক পার্টিতে যোগ দেন বরিস জনসন। এ নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাকে। চলতি বছরের এপ্রিলে ওই ঘটনার জন্য বরিস জনসনকে জরিমানা করা হয়।
জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি
বরিস জনসনের পদত্যাগের পেছনে একটি কারণ যুক্তরাজ্যে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি। চলতি বছর দেশটিতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ১ শতাংশে।
ওয়েন প্যাটারসন বিতর্ক
গত বছরের অক্টোবরে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সের একটি কমিটি কনজারভেটিভ পার্টির তৎকালীন এমপি ওয়েন প্যাটারসনকে ৩০ দিনের জন্য বহিষ্কার করার সুপারিশ করে। কমিটির ভাষ্য ছিল, প্যাটারসন অর্থের বিনিময়ে অবৈধভাবে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে সুযোগ–সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
পরিকল্পনায় ঘাটতি
ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের ওপর ভর করেই নির্বাচনে বড় জয় পেয়েছিলেন বরিস জনসন। তবে এরপর দেশকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে তার পরিকল্পনায় ঘাটতি ছিল বলে অভিযোগ সমালোচকদের।