সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে দেবী সরস্বতী হলেন জ্ঞান-বিদ্যা-সংস্কৃতি ও শুভ্রতার দেবী।তাঁর সৌম্য অবয়ব,শুভ্র বসন, হংস সম্বলিত পুস্তক ও বীণাধারিনী দেবী সনাতনী হিন্দুদের হৃদয়ে এমনভাবেই বিরাজিত।অনন্তকাল ধরে শিক্ষাকে উঁচুস্তরে আসীন করা হয়েছে সনাতন ধর্মে।ঋষিরা ব্রহ্মের অনন্তশক্তির অংশকে একেকজন দেব-দেবীরূপে কল্পনা করেছেন। ব্রহ্মের যে শক্তি বিদ্যা শিক্ষা দান করেন তাঁকে সরস্বতী দেবী জ্ঞ্যানে পূজার্চনা করা হয়। যে কারনে শাস্ত্রে বলা হয়েছে, চতুর্ভুজা ব্রহ্মের মুখ থেকে আবির্ভূতা শুভ্রবর্না বীনাধারিনী চন্দ্রের শোভাযুক্তা দেবীই হলেন সরস্বতী। সরস্বতীর ধ্যান, প্রনামমন্ত্র ও স্তবমালা থেকে সামগ্রিক রূপটি হল-‘তিনি শুভ্রবর্ণা শ্বেত পদ্মাসনা, শ্রীহস্তে লেখনী,পুস্তক ও বীণা’।
নিউজার্সি রাজ্যের আটলান্টিক সিটিতে আগামী ২৯ জানুয়ারি,বুধবার সনাতন হিন্দু ধর্মাবলমবীদের মন্দিরে বিদ্যা ও ললিতকলার অধিষ্ঠাত্রী দেবী সরস্বতীর পূজা উদযাপিত হবে। ঐদিন সকাল থেকেই মঙ্গলালোকে উদ্ভাসিত ধূপ-ধূনোর গন্ধে মাতোয়ারা ধরনীতে বেজে উঠবে শান্তির মোহনীয় সুর। আটলান্টিক কাউনটিতে বসবাসরত সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ঐদিন সকালে পুরোহিতের পূজার্চনা শেষে দেবী সরস্বতীর পদচরনে অঞ্জলি ও পুস্পার্ঘ অর্পণ করবে। অঞ্জলি প্রদান শেষে সমবেত ভক্তকুলের মাঝে প্রসাদ বিতরন করা হবে।
ঐদিন সন্ধ্যায় সন্ধ্যারতি ও সরস্বতী দেবীর পূজা উপলক্ষে প্রবাসে বেড়ে ওঠা প্রজন্মের অংশগ্রহনে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রবাসে বেড়ে ওঠা প্রজন্ম কবিতা আবৃত্তি, সমবেত সংগীত, একক সংগীত, একক ও দলীয় নৃত্য পরিবেশন করবে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে মহাপ্রসাদ বিতরনের মাধ্যমে সরস্বতী পূজার দিনব্যাপী কর্মসূচির সমাপ্তি ঘটবে।