রাজধানীর কামারপাড়ায় রাজাবাড়িতে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের গোডাউনে বিস্ফোরণের ঘটনায় একমাত্র জীবিত মো: শাহিনও (২৫) চলে গেলেন না ফেরার দেশে। শুক্রবার মধ্যরাতে তিনি মারা যান।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক এস এম আইউব হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শাহিনের শরীরের ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত মধ্যরাতে তার মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় ৮ জনের সবাই মারা গেছেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে দগ্ধ মো: শফিকুল ইসলাম (৩২) নামে একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে সাতজনে দাঁড়ায়।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো: বাচ্চু মিয়া জানান, ৮০ শতাংশ দগ্ধ শফিকুল রাত ১০টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা যান।
এর আগে ৭০ শতাংশ দগ্ধ আল-আমিনও মঙ্গলবার মারা যান।
বাচ্চু মিয়া জানান, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ৮০ শতাংশ দগ্ধ রাহাদ আলীর ছেলে মাসুম আলী (৩৫) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
সোমবার রাত দেড়টার দিকে ৯৫ শতাংশ দগ্ধ মিজান মারা যান বলে জানান বাচ্চু মিয়া।
রোববার একই হাসপাতালে গাজী মাজহারুল ইসলাম (৪৮), মো: আলম মিয়া (২০) ও মো: নুর হোসেন (৬০) মারা যান।
তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান জানান, শনিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের একটি গোডাউনে বিস্ফোরণ ঘটে এবং এতে আটজন আহত হন।