শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:৪২ পূর্বাহ্ন

৯৮ শতাংশই নকল, ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি ডিগ্রি বাতিল-পদাবনতি

বাংলাদেশ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৩১ আগস্ট, ২০২২
  • ১৩৬ বার

পিএইচডি গবেষণা অভিসন্দর্ভের (থিসিস) ৯৮ শতাংশ হুবহু নকল করে ‘ডক্টরেট’ ডিগ্রি নেওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবুল কালাম লুৎফুল কবীরের ডিগ্রি বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে সহযোগী অধ্যাপক থেকে সহকারী অধ্যাপকে পদাবনতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম (সিন্ডিকেট)।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সিন্ডিকেটের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সিন্ডিকেট সদস্য ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, পিএইচডি থিসিস জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সিন্ডিকেট সভায় লুৎফুল কবীরের ডিগ্রি বাতিল ও পদাবনতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

জানা গেছে, ২০১৪ সালের ‘টিউবারকিউলোসিস অ্যান্ড এইচআইভি কো-রিলেশন অ্যান্ড কো-ইনফেকশন ইন বাংলাদেশ: অ্যান এক্সপ্লোরেশন অব দেয়ার ইমপ্যাক্টস অন পাবলিক হেলথ’ শীর্ষক এক নিবন্ধের কাজ শুরু করেন আবুল কালাম লুৎফুল কবীর। তার এই গবেষণার তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আবু সারা শামসুর রউফ আর সহ-তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন বিভাগের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক।

সহ-তত্ত্বাবধায়করা একাধিকবার অনুরোধ করলেও অভিসন্দর্ভের কোনো কপি তাদের নিকট সরবরাহ না করার অভিযোগ ছিল কালাম লুৎফুল কবীরের বিরুদ্ধে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

২০২০ সালের ২৫ জানুয়ারি ওই শিক্ষকের গবেষণায় চৌর্যবৃত্তি নিয়ে গণমাধ্যমে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর ফেব্রুয়ারি মাসে সিন্ডিকেট সভায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

পাশাপাশি অভিযোগ তদন্তে কমিটি করে দেয় সিন্ডিকেট। পরে ২০২১ সালের ২৮ অক্টোবর শাস্তি দিতে একটি ট্র্যাইবুনাল গঠন করে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2019 bangladeshdailyonline.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com