রাজশাহীর বাঘার পদ্মার চরজুড়ে রয়েছে নয়টি প্রাথমিক ও দুটি উচ্চ বিদ্যালয়। এখানে লেখাপড়া করে প্রায় দুই হাজার ৬০০ শিক্ষার্থী। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধানরা বেশিরভাগ সময়ই পদ্মার ভাঙন রক্ষায় স্থান পরিবর্তনের আতঙ্কে থাকেন। তবু নদীভাঙন পিছু ছাড়ে না।
স্থানীয়রা বলেন, পদ্মায় পানির সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে আতঙ্ক। কখনো ভাঙন, আবার কখনো সর্বস্ব হারানোর ভয়। এমন আতঙ্কেই দিন কাটছে উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়নের পদ্মার চরের মানুষের। গেল বছর চরকরাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়, কালীদাসখালী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও লক্ষ্মীনগর প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
সর্বশেষ গত মাসে পদ্মার ভাঙন থেকে রক্ষার জন্য চকরাজাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়টি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এবারসহ তিনবার স্থানান্তর করা হলো। এ সময় খোলা আকাশের নিচে ক্লাস নেওয়া হয়। বর্তমানে তৈরি করা ঘরে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে।
এ ছাড়া পদ্মার চরে মধ্যে ৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও দুটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে চৌমাদিয়া, আতারপাড়া, চকরাজাপুর, পলাশি ফতেপুর, ফতেপুর পলাশী, লক্ষ্মীনগর, চকরাজাপুর, পশ্চিম চরকালীদাসখালী, পূর্ব চকরাজাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়। চকরাজাপুর ও পলাশি ফতেপুর এই দুটি উচ্চ বিদ্যালয়। পদ্মার চরে ৯টি প্রাথমিক ও দুটি উচ্চ বিদ্যালয় মিলে প্রায় ২ হাজার ৬০০ শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে।
এ বিষয়ে রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম বলেন, উপজেলার আলাইপুর থেকে চকরাজাপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীনগর পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার নদীভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছি। নদী খনন করলে নাব্যতা ফিরে পাবে। নদীর মূল স্রোতধারা নদীর কেন্দ্র বরাবর প্রবাহিত হবে। এর সঙ্গে পদ্মা তীর রক্ষার্থে স্থায়ী বাঁধ, স্পার, টি বাঁধ, আই বাঁধ নির্মাণ করা হবে। ফলে নদীভাঙন অনেকাংশে কমে আসবে। অতিশিগগিরই এ কাজ শুরু করা হবে।