পুলিশের বিরুদ্ধে হয়রানি ও আইনের নামে বাণিজ্যের অভিযোগে সিলেটে আজ মঙ্গলবার কর্মবিরতি করেছেন পরিবহন শ্রমিকরা। বাস, ট্রাক, পিকআপ ভ্যান এমনকি অটোরিকশা চলাচলও বন্ধ করে দেন তারা।
সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার নিশারুল আরিফের অপসারণসহ ৫ দফা দাবিতে আজ ভোর থেকে সিলেট জেলায় কর্মবিরতি করেন তারা। এ সময় পরিবহন শ্রমিকরা বন্ধ করে দেন ঢাকা-সিলেটসহ দূরপাল্লার সব রুটের যান চলাচল।
সিলেট জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর জানান, বিভাগীয় কমিশনারের আহ্বানে সাড়া দিলেও কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।
পাঁচ দফা দাবিতে ‘সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের ডাকে কর্মবিরতিতে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত লাঠি হাতে সিলেটের বিভিন্ন রাস্তায় ‘পিকেটিং’ করেছেন পরিবহন শ্রমিকরা। তারা কোনো ধরণের যানবাহন বা পণ্যবাহী গাড়ি চলতে দেননি। এতে স্কুল, কলেজে যাওয়া শিক্ষার্থীরা ও চাকরিজীবীরা ভোগান্তিতে পড়েন।
পরিবহন শ্রমিকরা জানান, বেশ কিছুদিন ধরে ৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কর্মবিরতি পালনসহ মিছিল-সভা করে আসছেন। তাদের দাবিগুলো হচ্ছে, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) কমিশনার ও উপ-কমিশনারের (ট্রাফিক) অপসারণ, ট্রাফিক পুলিশের হয়রানি ও রেকার বাণিজ্যসহ অতিরিক্ত জরিমানা বন্ধ, সিলেটে শ্রম আদালতের প্রতিনিধি শ্রমিক লীগের নাম ব্যবহার করে প্রভাব বিস্তার করা নাজমুল আলম রোমেনকে প্রত্যাহার, উচ্চ আদালতের নির্দেশনার আলোকে পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়া, ভাঙাচোরা রাস্তাগুলোর দ্রুত সংস্কার এবং নতুন সিএনজিচালিত অটোরিকশা বিক্রি বন্ধ ও গাড়ির রেজিস্ট্রেশন দেওয়া। এ ছাড়া অনুমোদনহীন গাড়ি যেমন, অটোবাইক, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ডাম্পিং গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখার দাবি জানিয়ে আসছেন পরিবহন শ্রমিকরা।
শ্রমিকদের পিকেটিংয়ের কারণে কোনো গাড়িই সড়কে চলাচল করতে পারেনি। বন্ধ ছিল সিএনজি চালিত অটোরিকশা। ফলে চরম দুর্ভোগে পরেছেন যাত্রীরা। দুরপাল্লার যাত্রীদের পাশাপাশি নগরের ভেতরে চলাচল করা যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। দাবি পূরণ না হলে কাল বুধবার থেকে পুরো বিভাগে কর্মবিরতি শুরুর হুমকি দিয়েছেন শ্রমিকরা।
একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করা লায়েক আহমেদ বলেন, ‘শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করছেন এতে আমার আপত্তি নেই, কিন্তু সাধারণ মানুষকে তারা ক্ষতিগ্রস্থ করবেন কেনো। তিন ঘন্টা দাঁড়িয়ে আছি, নগরে যাওয়ার কোনো বাহন পাচ্ছি না।