নেদারল্যান্ডসকে ১৪৫ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ। দারুণ শুরু করেও নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেটে ১৪৪ রান করতে সক্ষম হয় টাইগাররা। আফিফ হোসেনের ৩৮ ও শেষ দিকে মোসাদ্দেক হোসেনের ১২ বলে অপরাজিত ২০ রানে সম্মানজনক সংগ্রহে পৌঁছায় বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ পর্বে আজ নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামে বাংলাদেশ। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরুও পেয়েছিল টাইগাররা। প্রথম ৫ ওভারেই বিনা উইকেটে সংগ্রহ ৪৩ রান। বিশ্ব ক্রিকেটে আহামরি না হলেও বাংলাদেশের জন্য অনন্য অর্জনই বটে। ৩০ ম্যাচ পর এই প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি ৪০ -এর ঘর ছুঁয়েছে।
তবে দ্রুত ২ উইকেট হারিয়ে ফেললে ভালো শুরুটাও তখন চাপা পড়ে যায়। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে প্রথম বলেই ফেরেন সৌম্য সরকার। ১৪ রানে ফিরেন এই ওপেনার। এক ওভার পরেই আরেক ওপেনার নাজমুল হাসান শান্তও ফিরেন ২০ বলে ব্যক্তিগত ২৫ রানে।
যখন মনে হচ্ছিল অধিনাক সাকিব আর লিটনের ব্যাটে বাংলাদেশ ফের এগিয়ে যাবে। তখনই ৩ বলের ব্যবধানে দুজনের বিদায়ে বাংলাদেশ ব্যাকফুটে। লিটন করেন ১১ বলে ৯ ও ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে সীমানায় ক্যাচ হয়ে সাকিব ফেরেন ৯ বলে ৭ রানে। খানিক বাদে ব্যক্তিগত ৩ রানে ইয়াসির রাব্বি বোল্ড হয়ে ফিরে গেলে ম্যাচটা ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠে বাংলাদেশের জন্য।
নিজের ফিনিশার রোলরা পালন করতে পারেননি নুরুল হাসান সোহানও। আফিফের সাথে ৪৬ রানের জুটি গড়ে দলকে ভালো অবস্থানে পৌঁছে দিলেও সোহান করেন ১৮ বলে মাত্র ১৩ রান। প্রথম বলেই গোল্ডেন ডাক মেরে ফিরেছেন তাসকিনও।
তবে আফিফের দৃঢ়চেতা ব্যাটিংয়ে পথ খুঁজে পায় টাইগাররা। ত্রিদেশীয় সিরিজে রান খরায় ভোগার পরে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই নিজেকে খুঁজে পেয়েছেন এই তরুণ ব্যাটার। একা হাতে দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিয়েছেন আফিফ। ২৭ বলে ৩৮ করে ১৮তম ওভারের শেষ বলে ফিরেন আফিফ।