গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ২৭ অক্টোবর বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল নিউইয়র্ক পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তিনি কনস্যুলেট কর্তৃক আয়োজিত “রেমিট্যান্স-এর গুরুত্বঃ বর্তমান প্রেক্ষিত” শীর্ষক একটি গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসাবে অংশগ্রহন করেন। বৈঠকে নিউইয়র্কস্থ সরকারি ও বেসরকারি এক্সচেঞ্জসমূহের প্রতিনিধিবৃন্দ অংশগ্রহন করেন। এ সময় তাঁর সহধর্মিণী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রাক্তন সচিব কামরুন নাহারও উপস্থিত ছিলেন।
কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামসহ কনস্যুলেটের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ তাঁকে স্বাগত জানান। গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী বান্ধব নীতি ও সরকার গৃহিত পদক্ষেপসমূহের উল্লেখ করে প্রবাসীদেরকে বৈধ পথে আরও বেশী রেমিট্যান্স পাঠানোর আহবান জানান। রেমিট্যান্স প্রেরণের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোর অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি তাঁদের সহযোগিতা ও প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার অনুরোধ করেন। বাংলাদেশে বিদেশী বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ বিদ্যমান রয়েছে উল্লেখ করে তিনি প্রবাসীদের দেশে বিনিয়োগের আহবান জানান।
গোলটেবিল বৈঠকে আলোচকবৃন্দ সরকার ঘোষিত বিভিন্ন প্রণোদনা ও সুবিধাসমূহ যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত সকল প্রবাসীর মধ্যে ব্যাপক প্রচার প্রচারণার মাধ্যমে জনসচেতনতা তৈরির উপর জোর গুরুত্ব আরোপ করেন। এ বিষয়ে কমিউনিটিকে সম্পৃক্ত করে প্রচার-প্রচারণা চালানো, রেমিট্যান্স প্রেরণের ক্ষেত্রে প্রণোদনার হার বৃদ্ধি করা, রেমিট্যান্স সপ্তাহ বা মেলার আয়োজন করা, ওয়েজ আর্নার বন্ডের সুবিধাসমূহ যাতে প্রবাসীরা সহজে পেতে পারে সে ব্যবস্থা করাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করা হয় ।
পরবর্তীতে কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম কনস্যুলেটের বিভিন্ন সেবা কার্যক্রম সম্পর্কে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে অবহিত করেন। কনস্যুলেটের সার্বিক কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে ভবিষ্যতে সেবার মান সমুন্নত রাখার জন্য কনস্যুলেটের কর্মকর্তাবৃন্দকে তিনি পরামর্শ প্রদান করেন। কনসাল জেনারেল মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে কনস্যুলেট সফরের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।