বাবর আজমদের এখন দেয়ালে পিঠ ঢেকে গিয়েছে। বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচেই বাজে হার। সমালোচনায় ক্ষতবিক্ষত হচ্ছেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। ২০২২ আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হেরেছে পাকিস্তান। প্রথমে ভারতের কাছে শেষ বলে ম্যাচ হেরে যায় পাকিস্তান। আর জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধেও শেষ বলেই হয় ম্যাচের ফয়সালা।
পরপর দুই ম্যাচে পরাজয়ের পর বাবর আজম এবং তার টিমকে তুলোধোনা করছেন সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা। শোয়েব মালিককে দলে না রাখা নিয়ে বাবরকে একেবারে ধুইয়ে দিলেন ওয়াসিম আকরাম।
আকরাম একটি টুইট করে লিখেছেন, ‘হোয়াট আ শকার (বিশাল ধাক্কা)’। সাথে দিয়েছেন অবাক হওয়ার ইমোজি। বাবরদের পারফরম্যান্সকে এক কথায় জঘন্য বলতে চেয়েছেন আকরাম। জিম্বাবুয়ের মতো দল, যারা ধারেভারে পাকিস্তানের চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে, তাদের বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে পাকিস্তান ১৩১ রান তুলতে না পারায় বিস্মিত আকরাম।
এর পাশাপাশি ‘এ’ স্পোর্টস চ্যানেলে একটি লাইভ শো-তে তীব্র ভাষায় বাবরদের আক্রমণ করেছেন পাকিস্তানের সাবেক এই অধিনায়ক। ওই শো-তে শোয়েব মালিকও ছিলেন। আক্রমণ বলেছেন, ‘যেভাবে পরিকল্পনার কথা বলা হয়েছে, সবাইকে বসতে হবে। এক বছর ধরে আমরা সবাই বলে আসছি যে মিডল অর্ডার নড়বড়ে। এখন যে ছেলেটি এখানে বসে আছে, তার নাম শোয়েব মালিক। এখন আমি যদি অধিনায়ক হতাম, তাহলে আমার শেষ লক্ষ্য কী হবে, দলকে বিশ্বকাপ জিততে সাহায্য করা।’
ক্ষুব্ধ আকরাম আরো যোগ করেছেন, ‘তার জন্য যদি গাধাকে বাবা বানাতে হয়, তবে আমি তাই করব। কারণ আমার নিজের টার্গেট আছে, আমি বিশ্বকাপ জিততে চাই। আমি যদি শোয়েব মালিককে চাই , তা হলে আমি নির্বাচকদের সাথে লড়াই করব যে শোয়েব মালিককেই চাই, না হলে আমি দলের অধিনায়কত্ব করব না।’
টিভি উপস্থাপক আকরামকে যখন প্রশ্ন করেন, বাবর আজম তার পছন্দের খেলোয়াড় পাননি বা তার পছন্দের খেলোয়াড় পাওয়া উচিত কিনা, আপনি কী বলতে চান? এর জবাবে আক্রম বলেন, ‘তাকে আরো বুদ্ধিমান হতে হবে। এটা তো আর পাড়ার টিম নয় যে, নিজের পরিচিত বা বন্ধুকে দলে রাখতে দলে রাখতে হবে। আমি হলে শোয়েব মালিককে মিডল অর্ডারে রাখতাম। এটা অস্ট্রেলিয়ায় ম্যাচ, এটা শারজাহ, দুবাই বা পাকিস্তানের ডেড উইকেট নয়।’
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস