জিতলেই নিশ্চিত সেমিফাইনাল, হারলেই নিশ্চিত বিদায়; এমন সমীকরণ সামনে রেখে আগে ব্যাট করে পাকিস্তানকে ১২৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে যেতে ১২৮ রান করতে হবে পাকিস্তানকে। বিপরীতে বাংলাদেশের লক্ষ্য থাকবে ১২৭ রানের আগেই পাকিস্তানকে বেঁধে ফেলা। তবে এত ছোট লক্ষ্যে পাকিস্তানকে বেঁধে ফেলা অসম্ভবকে সম্ভব করার মতোই ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে।
ডু অর ডাই ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট করতে নামে টাইগাররা। সৌম্য সরকার আজ একাদশে ফিরলেও অপরিবর্তিত থাকে ওপেনিং জুটি। তবে ওপেনিংয়ে নেমেও আগের ম্যাচের মতো বড় ইনিংস উপহার দিতে পারেননি লিটন দাস। আজ ফিরেছেন ৮ বল থেকে মাত্র ১০ রান করে। তার বিদায়ে দলীয় ৩ ওভারেই ২১ রানে ভেঙেছে উদ্বোধনী জুটি। ওয়ান ডাউনে ব্যাট করতে আসেন সৌম্য সরকার। আগের ম্যাচে একাদশে না থাকলেও আজ ফের একাদশে ফিরেন এই অলরাউন্ডার।
সৌম্য-শান্তের ব্যাটিং দৃঢ়তায় পাওয়ার প্লেতে ৪০ রান সংগ্রহ করতে পারে বাংলাদেশ। আর ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে আসে ৭০ রান। তবে এর পরেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। পরপর দুই বলে ফিরে যান সৌম্য সরকার ও সাকিব আল হাসান। ১১তম ওভারের শাদাব খানের জোড়া শিকার হয়ে ফিরেছেন দু’জনে। সৌম্য সরকার ১৭ বল থেকে ২০ রান করে ফিরলে শান্তের সাথে তার ৪৭ বলে ৫২ রানের জুটি ভাঙে। এরপর কোনো রান না করেই ফিরেছেন সাকিব আল হাসান।
পরের ওভারে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় অর্ধশতক তুলে নেন নাজমুল হাসান শান্ত। তবে এরপর ইনিংস বড় করতে পারেননি, ফিরেছেন ৪৮ বল থেকে ৫৪ রান করেই। ১৬তম ওভারে ১০০ রানের গণ্ডি পাড়ি দেয় বাংলাদেশ। ১৭তম ওভারে শাহীন শাহ আফ্রিদির শিকার হন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। আউট হওয়ার আগে ১০ বল থেকে করেন মাত্র ৫ রান। কোনো রান না করেই ৩ বল খেলে নুরুল হাসান সোহানও মোসাদ্দেকের পথ ধরেন।
১৭, ১৮ ও ১৯তম ওভারে মাত্র ১০ রান স্কোরবোর্ডে যোগ করতে পারে বাংলাদেশ। এর মাঝে হারিয়ে ফেলে ৩ উইকেট। তবে শেষ ওভারে ১১ রান আসলে ১২৭ রানেই থামে বাংলাদেশের ইনিংস। শেষ ১০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৫৭ রান এসেছে স্কোরবোর্ডে। শাহিন শাহ আফ্রিদি ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে শিকার করেন ৪ উইকেট। শাদাব খানের দখলে যায় ২ উইকেট।