‘ভারতকে বলছি, আমরা মেলবোর্ন পৌঁছে গেছি। আমরা আপনাদের অপেক্ষায় আছি। আপনারাও চলে আসুন। ইংল্যান্ডকে হারিয়ে আপনারাও মেলবোর্নের টিকিট কাটুন। আমি চাই ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল হোক। আরো অন্তত একটি ফাইনালে হোক দু’দলের। গোটা পৃথিবী এর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।’ ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’খ্যাত শোয়েব আখতার বুধবার টুইটারে এক ভিডিও বার্তায় এমনই আর্জি জানান ভারতকে উদ্দেশ্য করে। ভুল বলেননি, সত্যিই তো তাই। খুব সাধারণ একটা ম্যাচও যেখানে অঘোষিত ফাইনালের মতো। আর তা যদি হয় সত্যিকার ফাইনাল, তাহলে তো বাড়তি উত্তেজনা থাকবেই।
এই একটা ম্যাচে, একটা লড়াইয়ে পুরো ক্রিকেট বিশ্ব যায় এক হয়ে, একই সুতোয় গেঁথে যায়। সবাই চেয়ে থাকে একই দিকে, একই আবেগে, একটাই উদ্দেশ্যে, মহারণের লোম দাঁড়ানো, দাঁতে দাঁত চাপানো শিহরণ পেতে। কারণ, এইটা শুধুই একটা ম্যাচ নয়, শুধুই খেলার জন্য খেলা নয়, শির উঁচু রাখতে চাই বিজয়। দেশের সম্মান আর ঐতিহ্য যেখানে আছে মিশে, ক্রিকেটটা যেখানে আবেগে, অনুভবে। আর তা যদি হয় শিরোপার শেষ লড়াই, ভাবা যায় এই উত্তেজনার শেষ কোথায়!
তবে এমনটা হতেই পারে। খুব বড় সুযোগও আছে। আজ অ্যাডিলেড ওভালে ইংল্যান্ডকে বিমানের টিকিট ধরিয়ে দিতে পারলেই সেই স্বপ্নের ম্যাচ দেখবে ক্রিকেট বিশ্ব। বছরের পর বছর ধরে যেই মুহূর্তের অপেক্ষায় ক্রীড়ামোদীরা, বলা যায় যেই অপেক্ষায় স্বয়ং ক্রিকেটও; দীর্ঘ ১৫ বছর পর ফের দেখা যেতে পারে এমন দৃশ্য। ভারত আজ ইংলিশ বাধা ভাঙতে পারলেই পা রাখবে ফাইনালে, যেখানে পাকিস্তান আগে থেকেই ওঁৎ পেতে আছে।
পাকিস্তান দলও ফাইনালে ভারতকেই চায়। সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ্যে এমনটাই দাবি করেছেন পাকিস্তান দলের পরামর্শ ম্যাথু হেইডেন। তিনি বলেন, ‘আমি ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে খেলতে চাই। কারণ, অনেক বেশি দর্শকের উপস্থিতি। সেটা অকল্পনীয় ব্যাপার হবে।’
যদিও সেই সুযোগ দিতে চায় না ইংল্যান্ড। এরই মাঝে প্রকাশ্যে ভারত-পাকিস্তানের ফাইনাল হওয়ার ‘পার্টি’ নষ্ট করার হুমকি দিয়ে রেখেছেন ইংলিশ অধিনায়ক জশ বাটলার। ভারতের বিপক্ষে আজ সেমিফাইনালের আগে বাটলার বলেন, ‘ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল ম্যাচ হোক এটা আমরা চাই না। আমরা তাদের ‘পার্টি’ নষ্ট করতে চাই।’
এখন দেখার বিষয় ভারত কতটা পারে এমন একটা সুযোগ লুফে নিতে। নাকি ইংল্যান্ডই ১৯৯২ বিশ্বকাপের শিহরণ জাগাবে? এই পশ্নের উত্তর পেতে অপেক্ষা করতে হবে আজ সন্ধ্যা নাগাদ।